আধুনিক যুগে শিল্প বিপ্লবের স্রোতে পুরোনো মূল্যবোধ ভেঙ্গে গঠিত হলো নতুন মূল্যবোধ। মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব অর্পিত হলো রাষ্ট্রের ওপর। রাষ্ট্রের চরিত্র হলো গণতান্ত্রিক আর শিক্ষা হলো সার্বজনীন। বিশ্বব্যাপী এই পরিবর্তনের সময় এদেশের শিক্ষা-ব্যবস্থা ব্রিটিশদের সেবাদাস ও কেরানি মার্কা শিক্ষানীতি দ্বারা পরিচালিত হতো। পাকিস্তান আমলেও এর ব্যতিক্রম কিছু ঘটে নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কয়েকবার গণতান্ত্রিক ও সময়োপযোগী বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে তার আশাব্যাঞ্জক বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে সুষ্ঠু শিক্ষানীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। নতুন প্রজন্ম তৈরির জন্য শিক্ষার স্তর নতুন করে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তি একীভূত করেছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের ফলস্বরূপ ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা, শিক্ষক বাতায়ন, মুক্তপাঠের মতো ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার, শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন অফিসিয়াল কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করাÑ এসব কার্যক্রম শুধু শিক্ষার মান উন্নতি করতে সাহায্য করছে না বরং আরও সহজলভ্য করতে সাহায্য করছে। বর্তমানে নতুন কারিকুলামে শিক্ষার মান বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে, পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু এবং উপস্থাপনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে, সর্বোপরি আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি গ্রহণের ওপর দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনে যা বাস্তবে কাজে লাগবে সেসব মৌলিক বিষয় বিবেচনায় করে পাঠ্যপুস্তক লেখা হয়েছে।
সাহেদ আখতার একজন দক্ষ আন্তর্জাতিক বিষয়ক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক যার কূটনীতিতে ত্রিশ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার দক্ষতা অর্থনৈতিক, পাবলিক, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে নিহিত। তিনি বিজিসিসিআই-তে সিইও এবং নির্বাহী উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন, ত্রৈমাসিক ÒDeutsch DeshÓ বিজনেস ম্যাগাজিন এবং মাসিক বিজনেস বুলেটিন-এর সম্পাদক ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি স্পেন, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং টঘ-ঊঝঈঅচ ও ডঞঙ-তে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্য ও মালেশিয়ায় ডেপুটি হাইকমিশনার, নিউইয়র্ক, ব্যাংকক, লন্ডন, স্পেন এবং কুয়ালালামপুরে বিভিন্ন কূটনৈতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মজীবন শেষ করেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঘানার নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ২০১৩ সালে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি ও সংসদীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন। সাহেদ আখতার অর্থনীতিতে স্নাতক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি, ওয়াশিংটন, ডিসি এবং ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে, তিনি মাসিক “ডিপ্লোম্যাটস ওয়ার্ল্ড”-এর সম্পাদক হিসাবে ও ঢাকা ফোরাম এবং কমনওয়েলথ সোসাইটির মতো সংস্থাগুলির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের পদে রয়েছেন। তিনি রোটারি ক্লাব রমনার সাবেক সভাপতি। লেখালেখির প্রতি তার গভীর আগ্রহ রয়েছে। ২০২৪ সালের বইমেলা প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বই