ইসলাম, মানবতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, অসাম্প্রদায়িক, পরমতসহিষ্ণুতাসহ মানব কল্যাণে নিবেদিত শান্তির ধর্ম। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা)—কে রাব্বুল আলামিন এই পৃথিবীতে মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। একমাত্র তাঁর মতাদর্শ পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, হানাহানি, হিংসা—বিদ্বেষ থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে পারে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা)—এর এই পবিত্র ধর্ম নিয়ে বিভিনড়ব মতবলবরাজ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নানা অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়ে এই দেশের সহজসরল সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর এই প্রেক্ষাপটে যারা পবিত্র ইসলাম ধর্ম, আল—কুরআন, আল—হাদিস, নবী—রাসূলগণ, খোলাফায়ে রাশেদীন, সাহাবায়ে কিরামসহ ইসলামের প্রতিষ্ঠিত বিষয়গুলোতে নানাবিধভাবে ভুল ও অপব্যাখ্যা দিয়ে বিভিনড়ব স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করতে চায় তাদের স্বরূপ উন্মোচন করা প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরই ইমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য। উপমহাদেশে আবুল আলা মওদুদীর ফেৎনা ও তার প্রতিষ্ঠিত দল জামাতে ইসলামীর অপতৎপরতা নিয়ে শুরু থেকেই হাক্কানি আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ, ইসলামী পণ্ডিত, বুদ্ধিজীবীগণ সহজসরল সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণকে সতর্ক করার জন্য বিবৃতি, ফতোয়া, ওয়াজ মাহফিল, বই—পুস্তক লিখেছেন। হাক্কানি আলেমগণ মওদুদীবাদকে কাদিয়ানিবাদের চেয়েও জঘন্য বলে মন্তব্য করেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন পবিত্র ইসলাম ধর্মের বিভিনড়ব বিষয়ে মূল্যবান বই, গবেষণামূলক গ্রš , বিশ্ব বিখ্যাত তাফসিরসমূহÑআরবী, উদুর্, ইংরেজি ফার্সিসহ বিভিনড়ব ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করে আসছে। পবিত্র ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে যারা বিভিনড়ব রকম ফেৎনার জন্ম দিচ্ছেন তাদের স্বরূপ উন্মোচনের জন্য বই প্রকাশ করতে আলেম সমাজসহ সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ দাবি জানিয়ে আসছেন। এই দাবি
‘ফাঁসির মঞ্চে তেরজন গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমাদের অতীত খননের কাজ শুরু হলো। আর এক্ষেত্রে আনোয়ার কবিরকে পথিকৃৎ বলা চলে।’ প্রখ্যাত কথাশিল্পী শওকত ওসমান দুই যুগ আগে ’৯৫ সালে লেখকের দ্বিতীয় গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেছিলেন। নিরন্তর ধারাবাহিক পথচলার লেখক তিনি। ধীমান ও তীক্ষ্ন মেধাসম্পন্ন মুক্তিযুদ্ধ এবং সামরিক বাহিনীতে গণহত্যা বিষয়ক গবেষক লেখক হিসেবে আনোয়ার কবির দেশের বুদ্ধিজীবী সাংবাদিকসহ সকল মহলের কাছে আলোচিত ও আলোড়িত নাম। দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনে রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স শুনানী থেকে হাইকোর্টে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ মামলা, কর্নেল তাহেরের রিভিউ মামলা ও যুদ্ধাপরাধী দল জামাতের নিবন্ধন বাতিলের ঐতিহাসিক মামলার রায়ে তার ৪ (চারটি) বই অঙ্গাঙ্গিভাবে রেফারেন্স গ্রন্থ। দেশের এই বিষয়সমূহে তাকে অন্যতম অগ্রগণ্য গবেষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জনমত তৈরির অন্যতম আলোচিত সংগঠন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-এর প্রতিষ্ঠাতাদেরও অন্যতম তিনি। সংগঠনটির তিনি প্রতিষ্ঠাতা মিডিয়া সমন্বয়ক। তাঁর লেখালেখি গ্রন্থ ও কাজ নিয়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলৎস, শওকত ওসমান, গোলাম মুরশিদ, আহমদ ছফা, শামসুর রাহমান, সরদার ফজলুল করিম, যতীন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম, এডভোকেট সিরাজুল হক, ব্যারিস্টার এম. জহির, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুদ্দিন আহমেদ, মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান বীর উত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইন উদ্দিন বীর প্রতীক, সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল হারুন-অর-রশিদ বীর প্রতীক, মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, ড. রফিক উল্লাহ খান, সৈয়দ আবুল মকসুদসহ দেশবরেণ্য সামরিক বেসামরিক বুদ্ধিজীবী গবেষকগণ একাধিকবার লেখালেখিসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি গণমাধ্যমে আলোচনা করেছেন। লেখকের গ্রন্থ : নির্বাচিত প্রতিবেদন জিয়া হত্যা সমরাস্ত্র ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (স্বচ্ছ প্রকাশনালয়), ফাঁসির মঞ্চে তেরজন (মাওলা ব্রাদার্স), ফাঁসির মঞ্চে কর্নেল তাহের : একটি অজানা কাহিনী (হাওলাদার প্রকাশনী), স্ববিরোধিতায় আক্রান্ত দেশ (নওরোজ কিতাবিস্তান), ২০ মে ’৯৬ সেনাবাহিনীতে সংঘটিত ঘটনার নেপথ্যে (মাওলা ব্রাদার্স), টেন এক্সক্লুসিভ (চারুলিপি প্রকাশনী), সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা (সাহিত্য প্রকাশ), সুফি দর্শন (সাতকাহন প্রকাশনী), বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার (নালন্দা প্রকাশনী), বৃষ্টিময় সারাদিন (কাব্যগ্রন্থ, সাতকাহন প্রকাশনী), মনমাঝি ও তার বৈঠা (কাব্যগ্রন্থ, কবি প্রকাশনী), মওদুদী-জামাত ফেৎনার স্বরূপ (সম্পাদনা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন), মুক্তিযুদ্ধের ঈদ (সম্পাদনা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)