পদ্ম, একজন শিক্ষিতা, ভদ্র এবং শালীন মেয়ে। সে তার ডিপার্টমেন্টরই খালিদ নামের একটি ছেলেকে ভীষণ পছন্দ করে। অনেকদিন ধরে ভাবছে, তাঁর ভালো লাগার কথাটা খালিদকে বলবে। কিন্তু কিছুতেই সাহস করে উঠতে পারছে না। অবশেষে গ্র্যাজুয়েশন শেষ হলে একদিন সব দ্বিধা পাশ কাঁটিয়ে খালিদকে তাদের বোটানিক্যাল গার্ডেনে দেখা করতে বলে। ভেবেছিল খালিদ আসবে না। কিন্তু না, তাকে অবাক করে দিয়ে খালিদ পরদিন বিকেলে পদ্ম'র বলা সময়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনে দেখা করতে আসলো। খালিদ অনেকটা লাজুক স্বভাবের ছেলে। পদ্ম খালিদকে তাঁর ভালো লাগার কথাটা জানায়, এবং বলে তাঁর কোনো সমস্যা না থাকলে সে তাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চায়। যদিও খালিদ সবেমাত্র একজন জব এপ্লিকেন্ট, তারপরও পদ্ম তাকেই চায়। সে বলে, সে তাঁর প্রিয় মানুষ, অর্থাৎ খালিদের সফল হওয়ার জার্নিটা নিজ চোখে কাছে থেকে দেখতে চায়, তাতে কিছুটা হলেও অবদান রাখতে চায়, তার সফলতাকে মন খুলে এনজয় করতে চায়। খালিদ তাৎক্ষণিক কিছু বলে না। সে সময় চায়। পদ্ম তাঁকে ভাবার সময় দেয়। পদ্ম মেয়েটা বড্ড ভালো। দেখতে যেমন মিষ্টি, তেমনি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও দারুণ। তাই খালিদ তার গ্রামের বাড়ি যায়, তার বাবা-মা আর বোনের সাথে কথাটা শেয়ার করে, তারা রাজি হয়। সে গ্রাম থেকে ফিরে গিয়ে পদ্ম'কে তাঁর ও তাঁর পরিবারের কথা জানায়। খালিদের দেয়া কাঠগোলাপটা পদ্ম তাঁর ব্যাগে পুড়ে নেয়, বাড়ি গিয়ে টেবিলে তাঁর প্রিয় বইটার ভেতরে রেখে দিবে। তারপর এক বুক উচ্ছ্বাস নিয়ে বাসায় ফিরে যায়। এবার তার পরিবারকে রাজি করানোর পালা...
আমি আল মামুন, লেখাপড়া করেছি নেত্রকোনা সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে। বেড়ে উঠেছি নেত্রকোনা জেলার অন্তর্গত কলমাকান্দা উপজেলার বাহাত্তর কাহন গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই বই পড়তে ভালো লাগে, তারপর এক সময় লেখালেখির প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। সেই থেকেই লেখালেখির জগতে পথচলা . . .