দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে আণবিক বোমায় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। লাখ লাখ নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায়। বোমার বিষাক্ত তেজস্ক্রিয় ভস্মপাতে আজও জাপানের লাখ লাখ মানুষ রক্তের ক্যান্সারসহ নানা রোগে ভুগছে। আণবিক বোমার মূল উপাদান অণুকে খণ্ডিত করে তার মধ্যে প্রচণ্ড মারণশক্তির আবিষ্কার যিনি করেছেন, তিনি বিশ্ববন্দিত বৈজ্ঞানিক জিন ফ্রেডেরিক জোলিও-ক্যুরি [Jean Frédéric Joliot-Curie, 1900-1958]। অণুর প্রচণ্ড শক্তি আবিষ্কার করেই এক দারুণ শঙ্কায় তার মন কেঁপে ওঠে। অণুর এই প্রচণ্ড মারণশক্তি কার হাতে মহাসংহারক রূপ নেবে- এই চিন্তায় তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন এবং অচিরেই তার আশঙ্কা জাপানে নির্মম সত্যরূপে প্রকাশ পায়। মহান এই আবিষ্কারকে নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে দেখে ফ্রেডেরিক গভীর মর্মাহত হলেন। পারমাণবিক শক্তিকে ধ্বংসের কাজে নয়, মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করার চিন্তা করে তিনি মানবতাবাদী বৈজ্ঞানিক আইনস্টাইন, ব্রিটিশ বিজ্ঞান কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জে.ডি. বার্নাল, শিল্পী পাবলো পিকাসো, অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন, চিলির কবি পাবলো নেরুদা, তুরস্কের কবি নাজিম হিকমত, সোভিয়েত ঔপন্যাসিক ইলিয়া ইরেন প্রমুখ বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীর সাথে যোগাযোগ করেন।