প্রতিটি মানুষের নিজস্ব জগৎ আছে যে মানুষটা আপনার কাছে ভুল মানুষ, সেই মানুষটাই কারো কাছে সঠিক মানুষ, আসলে কারো কাছে আপনার মূল্যায়ন নির্ভর করে, কার সাথে আপনি আচরণগত দিক দিয়ে কতটা সঠিক। মানুষ কারো ব্যাপারে মনোযোগী আবার কারো ব্যাপারে উদাসীন, অবশ্য এসব নির্ভর করে কে কার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ বা কে কার কতটা কাজে লাগে বা লাগতে পারে। আমরা ভুল মানুষ কাকে বলি? যে আপনার প্রতি যথেষ্ট দায়িত্বশীল, আন্তরিক না এবং সে আপনার কোন ভরসার জায়গা না অথচ এই ব্যক্তিটিই যখন অন্য কারো প্রতি দায়িত্বশীল, আন্তরিক ও ভরসাযোগ্য কেউ হয় তখন সে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে সঠিক মানুষ। মানুষ কে সচেতন করে তার ইচ্ছে। ইচ্ছে থাকলে মানুষ পরিকল্পনা করে, তারপর সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে এবং যতটা পারে তার মতো করে সচেতন হয়। আমি চাচ্ছি এটা আগে মনকে বুঝতে হবে তবেই না গতিময়তা আসবে। মানুষ তার নিজস্ব যুক্তিতে নিজেকে সঠিক মনে করে, হয়তো তার কিছু কিছু যুক্তি সঠিক তাই বলে কি সব সঠিক? কাজেই কেউ যদি আপনার কোন নেতিবাচক দিক তুলে ধরে সেটা আপনার বিবেচনায় আনতে হবে, মানুষে মানুষে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে নিজ অবস্থান থেকে নিজেকে সঠিক মনে করা, এটা মনে রাখবেন আমাদের নিজ অবস্থান থেকে কোন কোন বিষয় সঠিক হয় না বলেই আমাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। তা না পারস্পরিক দোষারোপ থাকত না। আমরা অনুভব করতে চাই, নিকটজনেরা আমাদের কতটা ভালোবাসে, মনের টান কতটুকু? কতটা নিবেদিত? ফলে মনে মনে কিছু প্রত্যাশা জন্মায় তাদের প্রতি। নিকট জনেরা আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি করে কোন সময়, তখন আমরা খুব খুশি হই এবং ভালোবাসার সম্পর্ক আরো মজবুত হয়। সমস্যা তখন হয় যখন প্রত্যাশার চেয়ে কম করে। আমরা ভেবে নেই আপনজনেরা বুঝতে পারে আমরা কি প্রত্যাশা করছি কিন্তু আসলেই কি তাই? ধরে নেই তারা ইচ্ছা করেই আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করছে না, অবহেলা করছে। আপনজনদের অবহেলা মানুষ সহজে মেনে নেয় না, প্রচণ্ড আহত হয়। মানুষ যে সব সময় বুঝেই অবহেলা করে তা না, অনেক সময় না বুঝেও করে অর্থাৎ তার কিছু আচার আচরণে যে, কেউ নিজেকে অবহেলিত ভাবছে তা বুঝতে পারে না, সে ধরে নেয় আচরণগত দিক দিয়ে সে সঠিক আছে। অপর দিকের মানুষটিও মনে অভিযোগ রেখে দেয়।