সহস্র বছরের ইসলামের গৌরবময় ইতিহাসের অকুতোভয় বীরদের একজন মিসরের সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স আল জাহির। তিনি ছিলেন মামলুক সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা। ত্রয়োদশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে যখন মোঙ্গলদের চাবুকের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত বর্তমান কাজাখাস্তানের মুসলিম জনগোষ্ঠী, তখন সেই অবরুদ্ধ জনপদে জন্মগ্রহণ করেন রুকনুদ্দিন বাইবার্স। কিশোর বয়সেই রণবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন বাইবার্স। ১২৪৮ সালে সপ্তম ক্রুসেড যুদ্ধে ফ্রান্সের রাজা নবম লুইকে পরাজয় বরণ করানো বাহিনীর এক দুঃসাহসী সৈন্য ছিলেন। চার বছরের সেই যুদ্ধে মুসলিম সেনাপতি নিহত হলে নেতৃত্বশূন্য মুসলিম সৈন্যলের সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন বাইবার্স। ১২৫০ সালে তিনি রাজা নবম লুইকে পরাজিত করে ক্রুসেডারদের দম্ভ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। আপসহীন বাইবার্স ১২৬০ সালে আইন জালুত যুদ্ধে মোঙ্গলদের শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন। আইন জালুত যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে মোঙ্গল শক্তির বিশ্ব কর্তৃত্বের স্বপ্নভঙ্গ হয়। এই যুদ্ধ আফ্রিকা ও ইউরোপে ইসলামি সভ্যতার শির উঁচু করে। যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের পর বাইবার্স ১২৬০ সালের শেষার্ধে মিসরের সিংহাসনে আরোহণ করেন। ক্রুসেডের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থে সবচেয়ে সফল বাইবার্সকে দ্বিতীয় সালাহউদ্দিন বলা হয়। সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স ইসলামের ইতিহাসে এক অনুপ্রেরণার নাম। ফ্রান্সের রাজা নবম লুই ও হালাকু খানকে পরাজিত করার পরবর্তী ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে এই উপন্যাস।