২৯ মে ২০২৪ ছিল প্রখ্যাত অভিনেতা মরহুম হুমায়ূন ফরীদির ৭২তম জন্মদিন। তার জন্মদিন উপলক্ষে আহমেদ রেজাউর রহমান এজাজের সম্পাদনায় প্রায় আড়াইশ’ পৃষ্ঠার বইটিতে অন্তত ষাটজন গুণী মানুষ তাদের লেখনির মধ্যমে হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন। ফরীদির নানানদিক নিয়ে তারা লিখেছেন। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ফরীদির ঘনিষ্ঠ বন্ধু কিংবদন্তি অভিনেতা আফজাল হোসেন। জন্মদিন উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে বইটির প্রকাশনা উৎসব ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান, জিয়াউল হাসান কিসলু, ফেরদৌস হাসান, হারুন-অর-রশীদ, অভিনেতা ঝুনা চৌধুরী, চলচ্চিত্র পরিচালক মতিন রহমান, নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলু প্রমুখ। অনুষ্ঠান শুরু হয় অনিমা রায়ের সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন ফরীদির মেয়ে দেবযানী। বাবাকে নিয়ে স্মরণ অনুষ্ঠানে কোনো কথা না বললেও প্রকাশিত বইটিতে দীর্ঘ এক মুখবন্ধ লিখেছেন তিনি। যেখানে বাবা হুমায়ূন ফরীদি কেমন ছিলেন, কন্যার দৃষ্টিতে দারুণভাবে তা ফুটে উঠে। ফরীদিকে নিয়ে স্মৃতিচারণের এক পর্যায়ে নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, চিরাচরিত অভিনয়রীতি এবং একজন অভিনেতার চিরায়ত বাচনভঙ্গি থেকে শুরু করে অভিনেতার চেহারা, চলন বলন, সব ভেঙে দিয়ে তিনি সত্যি সত্যি অসাধারণ হয়ে উঠেছিলেন। নাসিরউদ্দন ইউসুফ বাচ্চু স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার সাথে প্রথম সাক্ষাতেই ফরীদি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?’ আমি থতমত খেয়ে গেলাম। জীবন সম্পর্কে ধারণা এক মিনিটের মধ্যে বলাওতো মুশকিল। এই জীবন সম্পর্কে ধারণাটি হুমায়ূন ফরীদি সারা জীবন খুঁজেছে। বইটি নিয়ে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘হুমায়ূনের জন্মদিনে চ্যানেল আই বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়ে জানান দিয়ে গেল যে, আমাদের দেশে তোমরা যারা আজকে অভিনয় করো, তোমরা জেনে রাখো আমাদের দেশে একজন অনেক বড় অভিনেতা এসেছিলেন। অভিনয়শিল্পের প্রাচুর্যে তিনি আমাদের ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। অভিনেত্রী আফসানা মিমির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সমাপ্তি বক্তব্য রাখেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। এর আগে হুমায়ূন ফরীদিকে নিয়ে প্রকাশিত বই ‘হুমায়ূন ফরীদি: সাধারণ এক অসাধারণ’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন আগত অতিথিরা।