“বৃষলসূত্রে” বুদ্ধ তাঁহার এই অভিমত অতি সুস্পষ্ট ভাষায় অগ্নিভরদ্বাজের নিকট ব্যক্ত করিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, “জন্মহেতু কেহ ব্রাহ্মণ বা চণ্ডাল হয় না, কর্মদ্বারাই মানুষ ব্রাহ্মণ, কর্মদ্বারাই মানুষ চণ্ডাল হইয়া থাকে।” উক্ত সূত্রে তিনি চণ্ডালের নিম্নলিখিত লক্ষণ নির্দেশ করিয়াছেন― “যে পাপাচার, কপটী, ক্রোধী ও হিংসক, যে অসত্য দর্শন আশ্রয় করিয়াছে, যে মায়াবী, যে সর্বদা প্রবঞ্চনা করে, সেই ব্যক্তি চণ্ডাল।” “যে ব্যক্তি নিজ হস্তে পশু-পক্ষী প্রভৃতি জীবদিগকে হিংসা করে, যে নিষ্ঠুর, সেই ব্যক্তি চণ্ডাল।” “যে অকারণ অন্যকে নিগৃহীত করে, যে পরের ধন অপহরণ করে, যে ঋণগ্রস্ত হইয়া সেই ঋণ অস্বীকার করে, যে অর্থলোভে অন্যের জীবন নাশ করে, যে ব্যভিচার করে, সেই ব্যক্তি চণ্ডাল।” “যে অতীত-যৌবন ও জরাক্লিষ্ট জনকজননীর সেবা করে না, বাক্যবাণে স্বজনদিগকে জ্বালাতন করে, সেই ব্যক্তি চণ্ডাল।” “লোকে ভালো পরামর্শ চাহিতে আসিলে যে মন্দ পরামর্শ দেয়, সত্য গোপন করিয়া যে মিথ্যা বলে, সেই ব্যক্তি চণ্ডালের প্রধান।” “যে ব্যক্তি অহঙ্কারে মত্ত হইয়া আপন মুখে আপনার প্রশংসা করে, ঘৃণাপূর্বক অন্যকে নিন্দা করে, সেই ব্যক্তি চণ্ডাল।”