বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে! ৬৩ বছর পর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হলো!! ‘আযাদী সংগ্রামে প্রথম শহীদের গৌরব তিতুমীরের, অন্য কারও নয়’, এ মন্তব্যটি করেছেন প্রখ্যাত গবেষক বিচারপতি আবদুল মওদুদ। মর্দে মুজাহিদ তিতুমীর সম্পর্কে তাঁর এ মন্তব্য যথার্থ। বাংলার শ্যামল মাটির এই অকুতোভয় যুবক হিন্দের ইমাম শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ্ দেহলবী (র.)-র চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খল উন্মোচন করার লক্ষ্যে চব্বিশ পরগনা জেলার নিভৃত এক পল্লিতে জিহাদের ডাক দেন। তাঁর ডাকে সাড়া দেন সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণিভুক্ত চাষি, তাঁতি ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত মেহনতি মানুষ। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিতুমীরের সংগ্রাম উজ্জ্বল মাইলফলক হিসাবে উদ্ভাসিত। তিনি নিরন্ন নিরক্ষর মেহনতি মানুষকে সংগঠিত করে তাদের আত্মশক্তি জাগ্রত করতে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। এখানেই তিতুমীরের সার্থকতা। ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তিনি ফরাসি কিংবা ওলন্দাজদের সহায়তা কামনা করেননি। কিছুটা ক্ষীণ হলেও তিতুমীরের মুজাহিদ বাহিনীতে বখতিয়ারের ঘোড়ার খুরের আওয়াজ পাওয়া যায়। আযাদী সংগ্রামে তিনি যে পথ রচনা করে গেছেন সে পথেই অগ্রসর হয়েছিলেন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পরবর্তী মহানায়কগণ। জনগণের ইচ্ছাশক্তির নিকট কামান-বন্দুকের শক্তি পদানত হতে বাধ্য, আধুনিক যুগের এই বিশ্বাস উপমহাদেশে তিনিই প্রথম অনুধাবন করেন।