"মা-বাবার অধিকার "বইটির ভূমিকা: الحمد لله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে যে সত্য ও হেদায়ত নিয়ে এ ধরায় আগমন করেছেন, তন্মধ্যে সর্বপ্রথম বস্তু ছিল ঈমান ও তাওহীদের দাওয়াত। অতঃপর যে ব্যক্তি তার উক্ত দাওয়াত কবুল করে নিত, তিনি তাকে আমলী জিন্দিগী গঠন করার জন্য পথপ্রদর্শন করতেন। তাঁর সেই উপদেশাবলীকে মূলত দুভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমতঃ, ঐ সকল বিষয় যা বান্দাদের উপর আল্লাহ্ তা'আলার হকের সাথে সংশ্লিষ্ট। যে ব্যাপারে তিনি বলে দিয়েছেন যে, বান্দাদের উপর আল্লাহ্ তা'আলার কি হক রয়েছে এবং এ বিষয়ে তাদের উপর ফরযসমূহ কি কি। আর এ সকল হক ও ফরয তারা কিভাবে আদায় করবে। | দ্বিতীয়তঃ, তাঁর শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত ছিল ঐ সকল বিষয় যা বান্দাদের হকের সাথে সংশ্লিষ্ট। যার মধ্যে বলা হয়েছে যে, বান্দাদের উপর অন্য বান্দাদের ও সর্বসাধারণের কি কি হক রয়েছে। এ পার্থিব জগতে কোন ব্যক্তি যখন অন্য ব্যক্তির সাথে অথবা কোন মাখলুকের সাথে কোন বিষয়ে জড়িত হয় বা কোন কিছু আদান-প্রদান করে, তখন তাদের মধ্যে কি নীতিমালা হওয়া উচিত এবং এ বিষয়ে আল্লাহ্ তা'আলার বিধান কি। হুক্কুল ইবাদের মাসআলা এজন্যই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ভীতিপ্রদ যে, এতে কোন ত্রুটি হলে অথবা কারাে হক নষ্ট হলে কিংবা কোন যুলুম বা বাড়াবাড়ি হলে, আল্লাহ্ তা'আলা অত্যন্ত দয়ালু ও দাতা হওয়া সত্ত্বেও তার ক্ষমা ও মুক্তির ব্যাপারে তিনি স্বীয় হস্ত প্রসারিত করেন না;বরং (তা থেকে বাঁচার) উপায় হল, হয়ত ইহজগতে ঐ ব্যক্তির হক আদায় করে দেবে অথবা তার নিকট