প্রাচীনকালে সিন্ধু ও ইরাবতী নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কারের পর ভারতীয় সভ্যতা প্রাচীন মিশর ও সুমেরীয় সভ্যতার সমকালীন পর্যায়ে পৌঁছে। পণ্ডিতদের মতে, সিন্ধু সভ্যতা প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার সমসাময়িক কিংবা আরো প্রাচীন। এই সভ্যতার প্রাপ্ত নিদর্শন থেকে মনে হয় সিন্ধু, হরপ্পা, লুথাল, সুদকাজেনদোড়, কোনটাসি এবং আরো অনেক নগরকে কেন্দ্র করে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। এই সভ্যতার নগর পরিকল্পনা, প্রশাসন ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা, লিপি, বৈদেশিক বাণিজ্য প্রভৃতি বিবেচনা করলে সমগ্র ভারতবর্ষের ব্যাপক অঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার বিস্তার ছিল। আধুনিক ভারতীয় সমাজ, ধর্ম এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সিন্ধু সভ্যতার প্রভাব বহমান। সিন্ধু সভ্যতার উন্নত নগর জীবন বিশেষ করে উন্নত পয়ঃপ্রণালী, রাস্তাঘাট, স্থাপত্য, শিল্পকলা, প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মব্যবস্থা, শাসক শ্রেণির অস্তিত্ব, বৈদেশিক বাণিজ্যে সিলমোহরের ব্যবহার, বাণিজ্যিক পোতাশ্রয় এ সভ্যতাকে প্রাচীনকালে উন্নত সভ্যতা হিসেবে প্রতিপন্ন করে। গ্রন্থটিতে সিন্ধু সভ্যতার রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্ম, জ্ঞান-বিজ্ঞান, জনজীবন বস্তুনিষ্ঠভাবে আলোচনা করা হয়েছে।