"...আমাদের দেশে অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকারক ওষুধ শুধু বাণিজ্যিক কারণে আমদানি হয়। মানুষের মঙ্গল কাম্য নয় অর্থের বৃদ্ধিই কাঙ্ক্ষিত। তারই ফলশ্রুতিতে দেশে উৎপাদিত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাপ্যতা আছে এমন অনেক ওষুধই দ্বিগুণ দামে আমদানি করা হয়। এতে উভয় পক্ষের স্বার্থ উদ্ধার হয়।... চিকিৎসকদের নিজ নিজ কোম্পানির ওষুধ লিখতে যেমন ক্রমাগত প্রচার ও প্রলোভন দেখানো হয় ঠিক তেমনি রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য প্রলোভনের প্রতিযোগিতা চলে রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের মালিকদের মধ্যে। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা নিজ উপার্জন বৃদ্ধির মানসে প্রয়োজনাতিরিক্ত বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার জন্য যে রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে রোগীদের পাঠান এটা আজ সর্বজনস্বীকৃত। একইসঙ্গে একজন রোগীকে যেমন অতিরিক্ত পরীক্ষার জন্য অর্থদণ্ড দিতে হয় তেমনি সেসব পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ফি আদায় করে থাকেন কেন্দ্রগুলি, না হলে তারা কেমন করে চিকিৎসকদের কমিশন/উৎকোচ দিবেন? এ এক দূষিত 'চক্র' ফলশ্রুতিতে ক্লিষ্ট হন রোগীরা।..." "উন্নত বিশ্বে এক একটি এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ১০ হতে ১৫ বছর ব্যবহারের পর সে ওষুধ প্রতিরোধকারী জীবাণু হয়ে ওঠে। কিন্তু আমাদের দেশে দুই বছরের মধ্যেও এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ রেজিস্টেন্ট হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ল্যাব-এ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই যথেচ্ছভাবে এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়।"
মজনু-নুল হক জন্ম ঈশ্বরদীতে। বাড়ি নওগাঁয়। লেখাপড়ার শুরু লালমনিরহাটে এবং পরবর্তীতে কয়েকটি জেলা শহরে। সবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে। চাকরি জীবনে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (RIPA) এবং সােয়নসি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশােনার সুযােগ হয়েছে। সরকারী ও বেসরকারীভাবে বহু দেশে যাবার সুযােগ হয়েছে। লেখালেখির হাতে খড়ি স্কুল জীবন থেকেই যদিও তা অনিয়মিত ও বিচ্ছিন্ন। প্রকাশিত কয়েকটি গ্রন্থের মধ্যে বংশধর, সাহেব, আঠারাে নম্বর কেবিন, জীবন যেমন, বিলেতে বাংলার যুদ্ধ ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য।