হজ্বের বিধান হজ্ব, উমরা ও যিয়ারত হজ্জ শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয। হজ্জ সম্পর্কে আল্লাহ পাক কুরআনে কারিমে ইরশাদ করেছেন- অর্থ: মানুষের দায়িত্ব আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ করা, সেই সকল লোকদের উপর, যাদের সমর্থ আছে আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছার। ২০ এই আয়াতে কাদের উপর হজ্জ ফরয তা বোঝানো হয়েছে। সাথে সাথে হজ্জের নিয়ত সহিহ হওয়ার গুরুত্বও বোঝানো হয়েছে। হজ্জের নিয়ত হতে হবে সম্পূর্ণ খালেস। কোনোরকম মার্কেটিংয়ের নিয়ত, দেশ ঘোরার নিয়ত, বেড়ানোর নিয়ত এ সমস্ত নিয়ত রাখা যাবে না। নিয়ত হবে একমাত্র আল্লাহকে রাজি খুশি করা। হজ্জ হতে হবে আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। যাদের উপর হজ্জ ফরয হয়েছে, সবরকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে, সর্বপ্রকার মনের ধোঁকা উপেক্ষা করে, সবধরনের ভ্রান্ত ধারণা পরিত্যাগ করে তাদেরকে হজ্জের পাকাপোক্ত নিয়ত করে নিতে হবে। হজ্জের ব্যাপারে অনেকের অনেক রকম ধোঁকা হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে মানুষের সবচেয়ে বড় ধোঁকা এই হয় যে, সামনে করব। সামনে করব- এটা হল সবচেয়ে বড় ধোঁকা। আমাদের চোখের সামনে বহু লোক সামনে করব সামনে করব- এই করতে করতে দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছে। হজ্জ করা তাদের নসিব হচ্ছে না। অথচ হজ্জ শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয। এটি ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির একটি। তাই হজ্জ ফরয হওয়ার পর এই গুরুত্বপূর্ন ফরযটি আদায় করতে বিলম্ব করলে যত বিলম্ব হবে, ততই গুনাহ হতে থাকবে। আর খোদা না খাস্তা-এই বিলম্ব করার কারণে যদি কেউ হজ্জ না করে মারা যায়, তাহলে তার জন্য সেটা হবে খুবই আশঙ্কাজনক। কারণ তার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কত কঠোর কথা বলেছেন; তিনি বলেছেন। অর্থ- হজ্জ ফরয হওয়ার পরও বিনা ওজরে হজ্জ না করে যে মারা যায়, সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা নাসারা হয়ে মারা যাক, তাতে আমার কোনো পরোয়া ২৩. সূরা আল-ইমরান ৯৭।