আরবি ভাষায় ‘আহল’ শব্দের অরথ বাসিন্দা, নিবাসী, পরিবার, নাগরিক, লোক ইত্যাদী। ‘আহলে বায়েত’ মানে গৃহবাসী, ঘরের লোক, পরিবারস্থ ইত্যাদী। আর ‘আহলে বাইতে রাসূল’ অর্থ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের পরিবারবরগ। গৃহবাসী তিনভাবে হওয়া যায়- ১. নবীর গৃহে জন্মগ্রহণ করে তাতে বসবাস করা। যেমন- রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের তিন সন্তন- হযরত তৈয়ব-(তাহির), কাসিম ও ইব্রহীম রাদিয়ল্লাহু আনহু। ২. নবীর গৃহে জন্মগ্রহণ করে অন্যের ঘরে বসবাস। যেমন তাঁর চার কন্যা- হযরত জয়নাব, উম্মে কুলসুম, রুকাইয়া এবং ফতিমা সালামুল্লাহি আলাই। তাঁরা প্রিয় নবীর ঘরেই জন্মগ্রহন করেছেন কিন্তু বিবাহের পর শ্বশুর বাড়ীতেই বসবাস করেছেন। -এ উভয় শ্রেণীকে ‘আহলে বাইতে বেলাদাত’ বলা হয়। ৩. জন্ম হয়েছে অন্যত্র কিন্তু হুযুর আনোয়ার সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের গৃহেই অবস্থান করেছেন। যেমন- রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের সহধরমীনিগন।তাদের পিতার গৃহেই তাদের জন্ম কিন্তু বিবাহের পর রাসূলের গৃহেই থেকেছেন। তাদেরকে ‘আহলে বাইতে সকুন’ বলা হয়। আহলে বাইতের মধ্যে এ তিন শ্রেণীর মহাত্মাগণ অন্তরভূক্ত। সুতারাং উপরিউক্ত ব্যাখ্যা মতে, প্রিয় সারকারে দু’আলম, নূরে মুজাসসাম, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের সকল সন্তান-সন্ততি ও সহধরমীনিগণ ‘আহলে বাইতে রাসূল’। কিন্তু অধিকাংশ ওয়ামায়ে কেরামের বিশুদ্ধ ও নিরভরযোগ্য বরণনামতে, পবিত্র ‘আহলে বাইর’-এর ব্যবহার সূরা ৩৩ আহযাবের ৩৩ নং আয়াত নাজিলের প্রক্ষাপটে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত ইমাম হাসান, ইমাম হুসাইন, শেরে খোদা ইমাম আলী এবং হযরত সৈয়দা ফাতিমা যাহরা রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের একটি ইয়ামেনী কালো রেশমী চাদরে মধ্যে নিয়ে এই আয়াটি ঘোষনা করেন। অরথাৎ পবিত্র ‘আহলে বাইত’ বলতে তাদেরকেই বুঝানো হয়ে থাকে।