বইয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ- কোনো দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করতে হলে প্রথমে তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধধ্বংস করতে হবে। কারণ শিক্ষা ব্যবস্থার উপর গড়ে উঠে শিশুর চিন্তা-চেতনা ও ধ্যান-ধারণা। কথায় আছে, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষা বিমুখ রাখতে পারলে তাদেরকে গোলামীর শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখা সহজ হবে। তাই এই নীতির উপর ভিত্তি করে বিধর্মীরা মুসলিম দেশগুলোতে নানা শিক্ষা কর্মসূচি হাতে নেয়। নানা এনজিও এ দেশে গরিব-দুখি মানুষকে ক্ষুদ্রঋণ সাহয্যের নামে সুদের জালে আবদ্ধ করে হারাম রিযক ভক্ষণের সাথে যুক্ত করে রেখেছে। অথচ ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হলো হালাল খ্যাদ্য গ্রহণ করা। আবার সেখান থেকে প্রাপ্ত সুদের মুনাফা দিয়ে স্বল্প ব্যয়ে স্কুল পরিচালনা করছে তারা। এই সব স্কুলে অ্যাকাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি কো-কারিকুলাম শিক্ষার নামে নাচ-গান-ছবি আঁকা ইত্যাদি অপসংস্কৃতি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, যা একজন মুসলিম শিশুর জন্য মারাত্মক নৈতিকতা ও আকিদা বিধ্বংসী। মুসলিম শিশুরা প্রথমেই চিনবে তার রব্বকে। জানবে তার হুকুম-আহকাম, আদেশ-নিষেধ, ইমান-আকিদা, তাওহিদ-শিরক ইত্যাদি। অতঃপর ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে এর অনুশীলন করবে। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নানামুখি হওয়ায় জাতীয় শিক্ষক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডও মুসলিম শিশুদের সঠিকভাবে ইলাহি শিক্ষা দিতে পারছে না। সেকারণ আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মক্তব ভিক্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা। এখানে আপনার শিশুকে প্রথমেই শেখানো হবে সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টজগৎ সম্পর্কে, আদব-আখলাক, আকিদা ও আহকাম ইত্যাদি সম্পর্কে যা একজন প্রাকটিশিং মুসলমানের জন্য জানা অপরিহার্য কর্তব্য। তাই এই ক্ষুদ্র বইটি আপনার এবং আপনার সন্তানের জন্য সংগ্রহে রাখা আবশ্যক একদিন উপোষ থেকে হলেও। আল্লাহ সাহায় হোন- আমিন
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক জন্ম গাইবান্ধায়। বেড়ে উঠা রাজশাহীতে। পিতা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, মাতা উম্মে মারিয়াম রাযিয়া। উভয়েই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের হাতেই লেখকের পড়াশোনার হাতেখড়ি। কুরআন ও হাদীছের উচ্চতর জ্ঞান অর্জন করেছেন দারুল উলূম দেওবান্দ, ভারত ও মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব থেকে। কুরআন মাজীদ হিফয সম্পন্ন করেছেন গিলেটবাজার মাদরাসা বানারস থেকে। তার অন্যতম শিক্ষকগণ হচ্ছেন মাওলানা বদিউজ্জামান (রহ.), শায়খ আব্দুল খালেক সালাফী, মুফতী সাঈদ আহমাদ পালানপুরী, মাওলানা নিয়ামাতুল্লাহ আ'যমী, মুফতী হাবীবুর রহমান আ'যমী, শায়খ আওয়াদ আর-রুওয়াইছী, শায়খ আয়মান আর-রুহাইলী, শায়খ আনীস ত্বাহের, শায়খ আব্দুল বারী বিন হাম্মাদ আল-আনছারী, শায়খ মুহাম্মাদ বিন হাদী আল-মাদখালী প্রমুখ। হাদীছ নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখি করতে ভালবাসেন। গবেষণার পাশাপাশি দেশে সমাজ সংস্কার ও সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীছ ডিপার্টমেন্টের উলূমুল হাদীছ বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।