মা মরা মেয়ে টুনি। জন্মের সময় মাকে হারিয়েছে সে।ওর সাত ভাই, সবাই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। সবাই যে যার কাজে পৃথিবীর দুই-তিন মহাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে। টুনির বাবা এক সময় ছিলেন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। ছেলে মেয়েদের মানুষ করার ব্যাপারে তার কোন অবহেলা বা উদাসীনতা কখনো চোখে পড়ে নি। বিশ বছরের চঞ্চল টুনি তার সামার ভেকেশনের সময় কাটাতে প্রতিদিনই বিভিন্ন নামের আইডি নিয়ে চ্যাট রুমে ঢুকে। একদিন অনেক ভেবে সে তার বাবার আদর করে দেয়া নামটাই সেট করে “টুনি-পাখি”! সেদিনই পরিচয় জানে আলমের সাথে প্রথম পরিচয়। জানে আলম উপলব্ধি করে পরিবারের সবার আদরের চঞ্চল ছটফটে মেয়েটার বুকে একটা কষ্ট যেন সূক্ষ্ম কাঁটার মত বিঁধে আছে। টুনি সামনের বছর বাবার সাথে কানাডায় যাবে বেড়াতে। জানে আলম অনেক খুশি হয়- যাক! টুনির সাথে দেখা হবে ওর! টুনি কানাডায় আসলে আর কিছুতেই ফিরে যেতে দিবে না। টুনি আলমের প্ল্যান শুনে ভীষণ লজ্জা পায়! এবার তাই টুনি আলমকে তার অতীত জানাতে চায়। টুনির মনে হয়, নতুন সম্পর্ক শুরু করার আগে সব বলে দেয়াটা ভালো!টুনির মনে হয়, আলম মেনে নিবে ব্যাপারটা ! কিন্তু টুনি যখন আলমকে এসব বলে এর কোন প্রত্যুত্তর পায় না। টুনির চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে। হতাশায় টুনি তার ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারের চ্যাট ডিজআ্যবল করে দেয় তক্ষুনি! এদিকে তিন বছর পরে টুনির জীবন অনেক পালটে গিয়েছে! টুনির জীবনে আপন বলতে এখন দেশে কেউ নেই। ভাইয়া ভাবীরা যে যার মতো বিদেশে সেটেল্ড। টুনি একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে জয়েন করেছে। পাঁচ বছর পর, টুনি ভাইয়ের ছেলের আকিকার জন্য বসুন্ধরায় টুকটাক কেনাকাটায় ব্যস্ত। এমন সময় টুনির সেল ফোনে হঠাৎ একটা অচেনা কল আসে। টুনি সাধারণত কখনোই অচেনা কল ধরে না। ৬-৭ বার একই নাম্বার থেকে রিং আসার পরে অফিস থেকে কোন জরুরি কল কিনা সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে ফোনটা ধরে। অন্য প্রান্তের শুধুমাত্র “হ্যালো!” শুনেই টুনির মনে তোলপাড় শুরু হয়। বিধ্বংসী তোলপাড়! তারপর কি হলো? এটা জানার জন্য পড়তে হবে রোমান্টিক উপন্যাস টুনি বউ।
প্রিন্সিপাল ডায়টেশিয়ান, এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা ভামান্না চৌধুরী, বাবা গোলাম মওলা চৌধুরী ও মা আশরাফা খানম চৌধুরীর তিন সালে। সন্তান তিনি। ঢাকা মতিঝিল আইডিয়াল হাই স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি আর বাবার সুবাদে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ঢাকার আজিমপুরে অনা গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয় থেকে তিনি খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে মাস্টার্সে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমপিএইচ এবং প্রোজেক্ট হোপ যুক্তরাষ্ট্র সেন্টার (কলকাতা) থেকে ডায়াবেটিক এডুকেশনে পিজিডিএম ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি ভারতের অ্যাপোলো গ্লিনাগেলস হসপিটালস কলকাতায় ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেন। তিনি ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে স্পেশাল ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন ও পেডিয়াট্রিক ডায়াবেটিসে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তামান্না চৌধুরী ২০০৫ সাল থেকে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকাতে ডায়টেটিকস বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ক্রিটিক্যাল কেয়ার নিউট্রিশন, ডায়াবেটিস, অনকোলজি, রেনাল পুষ্টি, শিশু ও অটিজম পুষ্টি এবং ওজন ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ওপর বেশি মনোনিবেশ করেন। তিনি ৩০টির বেশি আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন সম্মেলন/সেমিনার/কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং সাতবার আন্তর্জাতিক কেস প্রেজেন্টেশনে অংশগ্রহণ করেছেন। অতিথি বক্তা হিসেবে তিনি শতাধিক স্থানীয় ও বহুজাতিক করপোরেট হাউসে স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। টিম লিডার হিসেবে ইএসপিএন অস্ট্রেলিয়া থেকে তিনি চারবারেরও বেশি ওয়ার্ল্ড নিউট্রিশন সার্ভে সার্টিফিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক নিউজ পোর্টাল ও জাতীয় দৈনিকে তার প্রকাশিত নিবন্ধের সংখ্যা ৬০০+। তামান্না চৌধুরী ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর প্যারেন্টেলার অ্যান্ড এন্টেরাল নিউট্রিশন (আইএপিইএন)-এর আঞ্চলিক সম্পাদক (বাংলাদেশ) এবং বাংলাদেশ পুষ্টি ও ডায়টেটিকস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক। প্রফেশনাল ও পারিবারিক কারনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। তিনি ২০১৪-তে বাংলাদেশ নাট্যসভা হতে পুষ্টি বিষয়ে অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পান। সি এম ও বাংলাদেশ ওমেন লিডারস অ্যাওয়ার্ড পান ২০১৮ সালে। প্রতিশ্রুতিশীল এই পুষ্টিবিদ মানব স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন