এ বইটিতে অনুসরণীয় কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্নীতি বিরোধী ভূমিকা সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তিনি তাঁর ছোটবেলা থেকেই দুর্নীতি-অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। তাঁর শাসনামলে মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে দুর্নীতি বন্ধ/দমন করার জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। দুর্নীতি উন্নয়নের প্রতিবন্ধক। দুর্নীতির ফলে সমস্ত কল্যাণমূলক কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হয়। দুর্নীতির বীজ যাতে কোনভাবে ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারে জাতির জনকের আন্তরিকতা, তাঁর গৃহীত উদ্যোগের মাধ্যমে পরিস্ফুট হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেদের পরিচালিত করার জন্য আমাদেরকে সর্বাগ্রে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। স্বচ্ছতাও দুর্নীতিমুক্ত চর্চার মাধ্যমে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবী। দুর্নীতি দমন করা সম্ভব না হলে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রুপকল্প ২০২১-২০৪১ সহ তাঁর গৃহীত কার্যক্রমগুলোর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন ব্যাহত হবে। এ আদর্শকে সামনে রেখে দেশের পরিবেশ এবং সমাজের যে বিষয়গুলোগুলো সংশোধন করা প্রয়োজন তন্মধ্যে কিছু বিষয় এ বইটিতে সংযোজন করা হয়েছে। পরিবেশের ক্ষতিকর কাজগুলো মানুষ নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছে শুধুমাত্র নিজেদের সাময়িক সুবিধা বা লাভের জন্য। তাতে ,পরিবেশের জন্য সুদূরপ্রসারী ক্ষতি বয়ে আনছে যেমনঃ পাহাড় কাটা, পুকুর-জলাধার ভরাট করা, বৃক্ষ নিধন করা, পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার, খাবারে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা ইত্যাদি। এছাড়া সামাজিক যে সমস্ত বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট হলে মানুষের মধ্যে যদি ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে তবে সমাজের তথা মানুষের কল্যাণ হয়। এখানে কয়েকটি বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। যেমনঃ বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজনীয়তা, ইভটিজিং ও নারীর প্রতি সহিংসতা, পরিত্যক্ত সম্পত্তির ব্যবহার, অসহায় শিশুদের একটি শেল্টার এর জন্য করণীয় সম্পর্কে কিছু আলোচনা ইত্যাদি। আরও অনেক বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে, কিন্তু সময়স্বল্পতার জন্য অদ্যাবধি লেখা হয়ে উঠেনি। আসলে জীবনের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসেছি। সরকারী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অন্য কোন চিন্তা করার সুযোগ পাইনি। সবসময় নিজের সংসার-সন্তানের চাইতেও সরকারী দায়িত্বকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করেছি। জীবনের শেষবেলায় এসে কলম ধরেছি, মানুষের তথা দেশের কল্যাণের জন্য কিছু করতে পারি কী না। আমার এ লেখনী প্রকাশনায় নিবেদন প্রিন্টার্স অর্থাৎ জনাব মহিউদ্দিন শাহ আলম ভাই এবং কালধারা প্রকাশনীর সকলকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। এছাড়া আমার ব্যাক্তিগত কর্মকর্তা আয়েশা ইসরাত জাহান ও রাফিদ নুশায়ের হুদা আমার লেখা টাইপ করে আমাকে উপকৃত করেছে। তাদের জন্য দোয়া করি।