সুন্দর আগামীর স্বপ্ন যদি প্রশ্ন করা হয় কে কত বড় মনের মানুষ? জবাব হচ্ছে- যার স্বপ্ন যত বড়, সে তত বড় মনের মানুষ। অর্থাৎ মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। স্বপ্ন দেখতে কোন বাধা নেই। স্বপ্ন সৃষ্টি করে সুন্দর আগামীর। স্বপ্ন আছে বলে মানুষ বেঁচে আছে। আমরা এই পৃথিবীকে যেমন পেয়েছি, তার থেকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে চাই আগামী প্রজন্মের জন্য। বেকারত্ব, দারিদ্রতা, অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও আমরা স্বপ্ন দেখি সুন্দর আগামীর। আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি। আমরা আমাদের সমাজকে, দেশকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারি। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল এদেশেরও যে কত উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে তা আমরা একটুখানি গভীরভাবে চিন্তা করলে উপলব্ধি করতে পারি। একটু চেষ্টা করলে যা কিছু ভালো তা সবই করতে পারি। আমরা স্বপ্ন দেখি এবং আগামী প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাতে চাই। কিন্তু কীভাবে দেখাব, তা ভেবে পাই না। সম্প্রতি ছাত্র জনতার বিপ্লবে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে নতুন সম্ভাবনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদেরকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে উদ্বুদ্ধ করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সকল শিশু-কিশোর, ছাত্র জনতা শহীদ হয়েছেন সবার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাই। ছাত্র তথা তরুণদের আত্মত্যাগ বাঙালি জাতি সবসময় মনে রাখবে। সমাজ বা দেশে সর্বক্ষেত্রে তরুণরা হলো প্রাণশক্তি। যে সমাজ বা দেশ এই তরুণ শক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে তারাই অতি দ্রুত উন্নতির ছোঁয়া পেয়েছে। কেননা তরুণদের মাঝেই লুকিয়ে আছে হাজার সম্ভাবনার দুয়ার। তারা যা পারে নানা সীমাবদ্ধতা বা নানা কারণে তার অনেক কিছুই প্রবীণদের দ্বারা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। প্রবীণরা প্রায়শ তাদের অতীত অভিজ্ঞতার কথা বলে থাকেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে তরুণদের সমš^য় করে তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেন। এটাই তরুণ ও প্রবীণদের এক সঙ্গে পথচলা। সফল ও সার্থক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবাইকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। ভালো কাজকে ভালো বলতে হবে। খারাপ কাজকে সমাজ থেকে, মন থেকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। ছোটদের পত্রিকা কানামাছি ১৮বর্ষ অতিক্রম করে ১৯-এ যাত্রা শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ সংখ্যায় যারা লেখা, বিজ্ঞাপন ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
Moin Mursalin এ সময়ের উজ্জ্বল একনিষ্ঠ সাহিত্যকর্মী। তাঁর ধ্যান-জ্ঞান-বিচরণ-মননজুড়ে শুধুই সাহিত্য। তিনি একাধারে কবি, শিশুসাহিত্যিক, প্রকাশক, সম্পাদক ও সাহিত্য সংগঠক। জন্ম ১৯৮৪ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকার মগবাজার মধুবাগ পিত্রালয়ে। শিক্ষাজীবনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই মঈন মুরসালিন জড়িয়ে পড়েন সাহিত্যের সাথে। নিয়মিত লিখছেন জাতীয় দৈনিক, মাসিক, সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোতে। এ যাবৎ প্রকাশিত মৌলিক গ্রন্থ ১৭টি। কর্মজীবনের সূচনা প্রকাশনার মাধ্যমে। নিজস্ব মেধা মনন দিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘প্রতিভা প্রকাশ’ নামক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। প্রতিভা প্রকাশ থেকে এ যাবৎ প্রকাশিত হয়েছে চার শতাধিক গ্রন্থ। তিনি ২০০৬ সাল থেকে নিজ সম্পাদনায় নিয়মিত প্রকাশ করেন ছোটদের পত্রিকা ‘কানামাছি’। এছাড়াও জড়িত আছেন বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে।