জন্মের পর প্রথম ১০০০ দিন শিশুর প্রয়োজন আলাদা যত্ন। সেই যত্নটা যথাযথ ভাবে নিতে গেলে ভালোভাবে জানা দরকার বেড়ে ওঠার এই দিনগুলোতে শিশুর চাহিদাগুলো। জেনেটিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে শিশুর জন্ম হয়, চারদিকের নানান প্রভাব ও উদ্দীপনা নির্ধারণ করে দেয় তার বিকাশের প্রকৃতি। সঠিক সময়ে সঠিক ভূমিকা গ্রহণ তাই শিশু বিকাশের মূলমন্ত্র। একইসাথে নেতিবাচক উপাদানগুলোকেও দ্রুত সনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তার বিকাশের বাধাগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। কোন বয়েসে শিশুর কী খাবার দরকার, কীভাবে সে নানান কিছু শিখতে থাকে নিজে নিজেই, কী কী তাকে শিখিয়ে দিলে তার বিকাশটা দ্রুততর হয়, তার ভাষা শিক্ষার হাতেখড়িটা কীভাবে হবে, কোন কোন অসুখ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে আর সেগুলোর লক্ষণ ও চিকিৎসা বিষয়ে ধারণা, কোন কোন উপসর্গ বা সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, এই সব কিছুই এই বইয়ে সহজ ভাষায় বর্ণনা করা আছে। শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য জানা থাকা দরকার এমন প্রায় সকল কিছু নিয়ে অজস্র প্রশ্নের উত্তর পাঠক এখানে পাবেন। লেখক ডাক্তার সেলীনা হুস্না বানু নিজে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ। তাঁর পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতা আর বিপুল গবেষণা লদ্ধ শ্রমের নির্যাস শিশুর প্রথম ১০০০ দিনের বিকাশ। শিশুর মা ও বাবা, চিকিৎসক, পরিচর্যাকারী এবং শিশুর যত্নের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের জন্য হাতের কাছে রাখবার মতো একটি বই শিশুর প্রথম ১০০০ দিনের বিকাশ। গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে শৈশবে শিশুর জন্য করণীয় সম্পর্কে এমন পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ বাংলা ভাষায় এর আগে হয় নি।
সেলীনা হুস্স্না বানু ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগ ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান, পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাইল্ড হেলথ মেডিসিনে ডিসিএইচ সম্পন্ন করেন। আইসিএইচ লন্ডনে গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল নিউরোফিজিওলজি ও চাইল্ড নিউরোলজিতে ক্লিনিক্যাল ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তী সময়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে তিনি চাইল্ডহুড এপিলেপসি ও নিউরোডিজেবিলিটিতে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি শিশু বিকাশ নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন, ইন্সটিটিউট অব নিউরোলজি লন্ডন, আমেরিকান ক্লিনিক্যাল নিউরোফিজিওলজি সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন।