২০০৭ সালে লালমনিরহাট কারাগারে থাকা হিন্দু ধর্মাবলম্বী হৈম ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী সেকেন্দারের জীবনকাহিনি নিয়ে লেখা উপন্যাস ' 'হেমলতা'। উপন্যাসটি কারাগার ও কারাগারের বাইরে থাকা দুটি নর-নারীর জীবনমুখী গল্পকে উপজীব্য করে লেখা। বাবা-মায়ের নির্যাতনের পাশাপাশি সমাজ- রাষ্ট্র কারাগার আইন কীভাবে নির্যাতন করেছে তা আছে বইটিতে। বাঁচার জন্য কি না করেনি আর কোথায় না যাননি তারা! তাদেরকে কেন্দ্র করে সমাজপতি আর ধর্ম ব্যবসায়ীরা কি না করেনি? সমাজের নোংরা বাস্তব চিত্রও উঠে উপন্যাসের পৃষ্ঠায়। মামলা দিয়ে আর হামলা করে একদিকে যেমন পরিবার দুটি ধ্বংস হয়েছে তেমনি অর্থের যোগান দিতে দিতে পথে নেমেছে। পরিস্থিতি এতটাই অমানবিক ছিল যে দুটি ছেলে মেয়ে মানসিকভাবে শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে শেষ পরিণতি হয়েছে দুজনের দুদিকে। উপন্যাসে হেমলতার মাকে লেখা চিঠিটি সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে। হেমলতাদের মানবাধিকার রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি। অবশেষে আশার বাতিঘর হয়ে এসেছিলেন একজন জজ। যার বিচারিক দক্ষতায় বন্দিশালা থেকে মুক্ত হয়েছিল সেকেন্দার। কিন্তু তাতে কী সমস্যার সমাধান হয়েছিল? হেমলতার মুক্তি মেলেনি। অনেক পরে মুক্তি মিললেও ততদিনে সেকেন্দার কোথায় গেছে... -