কবিতা আবৃত্তি, গান বাজনা এবং লেখাজোখার একটা অভ্যেস ছোটবেলা থেকেই। পিতা শামস্-উল আলমই পরিবারের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সাধনার মূলে ছিলেন, একথা ছোট চাচার মুখে বার বার শুনেছি। চাচা সাহিত্যিক মাহবুব- উল আলম, দিদারুল আলম এবং ওহীদুল আলম তাঁদের জীবনে বাঙলা সাহিত্যকে মৌলিক অবদানে সমৃদ্ধ করেছিলেন। আমাদের দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে সাহিত্য, সঙ্গীত, সাংবাদিকতা ও চিত্রকলার চর্চা চলছে। সেই সুবাদে সাংবাদিকতার পাশাপাশি আমিও লেখালেখিতে জড়িয়ে পড়ি। আমার যাপিত জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এসব লেখালেখি কাজেই সত্যনিষ্ঠ; কল্পনার ছোঁয়ায় সঞ্জীবিত নয় একটুও। কিছুটা খেয়ালের বশে, আবার সময়ের দাবিতে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বনের জন্যও বটে – লিখেছি স্বনামে, বেনামে, প্রথম পুরুষে এবং তৃতীয় পুরুষেও। কারণ তখনও লেখাগুলো বই আকারে বের হবে, এমন কোন পরিকল্পনা ছিল না। বইয়ের আকারে লেখা বের করার উদ্যোগটা আমার স্ত্রী কুলসুম আনোয়ারের। তার তাগিদটা আমাকে উৎসাহিত করে তোলে। ছেলেমেয়েরাও চায় বই বের হোক। আমার স্নেহপুষ্ট আদরের ছোটভাই সবিহ্-উল আলমের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই প্রকাশনা। 'সায়াহ্নের দিনলিপি' বইটি কিংবা এটির কোন অংশ বিশেষ, কারও ভালো লাগার কারণ হলে, আমি আনন্দ পাবো, উৎসাহিত হবো। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।