সাসপেক্টের কাছ থেকে তদন্ত বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করার পদ্ধতিকে বলা হয় জিজ্ঞাসাবাদ । প্রফেশনাল এ কাজটিকে অপরাধবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান ও আচরণ বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক জ্ঞানের সাথে বাস্তবমূখী কলাকৌশলের মিশ্রণ বলা হয়ে থাকে। যাই হোক, একাজে সফলতার জন্য তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা থাকতে হয়। মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ না করে উপযুক্ত জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়। প্রয়োজনে অভিনয়ও করতে হয়। অনেকে স্বীকারোক্তি অর্জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মূল সাফল্য মনে করেন। ধারণাটি সঠিক নয়। কেননা অপরাধীরা প্রায়ই সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে কথা বলে। কেউ কেউ লোভে বা চাপে পড়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়। তাই, শুধু স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করা যায় না। স্বীকারোক্তি হতে হয় বস্তুগত ও পারিপাশ্বিক সাক্ষ্য-সমর্থিত। জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তার একটি বড় কাজ হলো উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে সাসপেক্টকে সত্য বলতে উৎসাহিত করা। এ কাজটি তাকে দক্ষতার সাথে করতে হয়। কিন্তু এই দক্ষতা একদিনে অর্জন করা সম্ভব হয় না। মাঠপর্যায়ে প্রচুর অনুশীলন , এমনকি নিজের ভুল থেকেও শিক্ষা নিতে হয়। বইটিতে জিজ্ঞাসাবাদের বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সফল হওয়ার জন্য কার্যকর নানা টিপস এখানে আলোচিত হয়েছে। আশা করছি , বইটি পাঠের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাগণ দারুণ উপকৃত হবেন
পেশায় পুলিশ কর্মকর্তা। জন্ম : ১৯৬৯ সালে গাইবান্ধায়। লেখাপড়া করেছেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে। এসএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বাের্ডের মানবিক বিভাগে মেধাতালিকায় চতুর্থ ও এইচএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় হন। এরপর ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে কোলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিমিনােলজি এন্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস-এ মাস্টার্স করেন। ১৮তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যােগদান করেন। এর আগে বাংলাদেশ টাইমস-এ স্টাফ রিপাের্টার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। কিছুদিন আইএফআইসি ব্যাংকে অফিসার হিসাবে কাজ করেছেন। পুলিশ সার্ভিসে যােগদানের পর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কসােভাে, লাইবেরিয়া ও সুদানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন সময় ভারত, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ইটালি, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ঘানা, আইভােরিকোস্ট, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন। স্ত্রী আতিয়া হুসনা ২৪ বিসিএস-এর একজন পুলিশ কর্মকর্তা। দুই কন্যা সাহিরা নুদার ও রাইনা নাওয়ার । দুজনই মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী। প্রথম জন বর্তমানে ‘এ’ লেভেল ও দ্বিতীয় জন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। সমাজ ও দেশ নিয়ে ভাবেন। সকল পরিবারকে সুখী দেখতে চান।