সম্পাদকীয়-২ : এসো তপোবনে ... তপোবন পত্রিকার দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হলোা ‘দেশবোধ ও সমকালীন সাহিত্য’-কে বক্ষে ধারণ করে, যেখানে বাঙালিয়ানা ও বিশ্ববীক্ষাই নিয়ামকশক্তি। কিন্তু, ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিস্তীর্ণ কালসীমায় ডুব দিয়ে ব্যাপকতর পরিশীলনে ঋদ্ধ হওয়া আমাদের দৃষ্টিতে আরেক নান্দনিক আবিষ্কার এবং নতুনরূপে উৎকীর্ণ হওয়া। এই আত্তীকরণ সহজ নয়, আমরা কেবল প্রচেষ্টা করতে পারি। কতদূর যাবো তা সময়ই জানিয়ে দেবে। বক্ষ্যমান সংখ্যার সূচনা হয়েছে কবিতা দিয়ে। ‘কবিতার চিলেকোঠা’ বিভাগে বায়তুল্লাহ্ধসঢ়; কাদেরীর কবিতা আমাদের চমকিত করেছে। এরপর ধারাবাহিকভাবে ‘শতবার্ষিক স্মরণ’ বিভাগে স্মরণ করা হয়েছে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ধসঢ়;, কাজী নজরুল ইসলাম ও আবুল হোসেনকে, যেখানে শতবর্ষ পেরিয়ে এসে তাঁদের সৃষ্টিকর্মেরর প্রয়োজনীয়তা ও প্রজ্ঞানকে করা হয়েছে পরীক্ষা। ‘‘দেশবোধ’’ বিষয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘ক্রোড়পত্র-১’, লিখেছেন শামীম সাঈদ, মোছা. সেতু খাতুন, শিউলী রানী সাহা, আশুতোষ কুমার সাহা প্রমুখ। এছাড়া নিয়মিত বিভাগ হিসেবে রয়েছে গল্প, অনুগল্প, অনুবাদ গল্প, অনুবাদ কবিতা ইত্যাদিত। এই সংখ্যায় মলয়ালম এবং চাকমা ভাষার কবিতার অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ‘ক্রোড়পত্র-২’ প্রকাশিত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ-এর তিন প্রফেসর খোন্দকার সিরাজুল হক, অমৃতলাল বালা ও সরকার সুজিত কুমারকে নিয়ে। তাঁদের তিন জনকে স্মরণ করে কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন শুভাকাঙক্ষী বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। আমরা পরবর্তী সংখ্যায়ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ-এর বিশিষ্ট তিন শিক্ষককে স্মরণ করে ‘স্মৃতিগদ্য’ ছাপাতে আগ্রহী। গত সংখ্যার মতো এবারও সমকালীন বাংলা সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদ ও সৃজনশীল রচনার প্রতিদৃষ্টি দেয়া হয়েছে । বর্তমান সংখ্যায় আমরা বাংলাদেশের বাংলা ভাষায় রচিত কবিতার ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছি। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চরিত্র পূজা, ‘বিদ্যাসাগর-চরিত’ হতে চয়ন করা একটি উক্তি দিয়ে তপোবন পত্রিকার দ্বিতীয় সংখ্যার সূচনা হয়েছে। আশা করছি, বাংলাদেশের আগামী প্রজন্ম এই রবীন্দ্র-উক্তির নন্দনবৈশিষ্ট্যের আলোকে স্ব-স্ব ত্রুটি অনুধাবন করে, হবে মুক্ত ও চলচঞ্চল। তপোবন-এর সাথে থাকুন। সকলের জন্য শুভেচ্ছা।