ত্রেতাযুগে অযোধ্যায় দশরথ নামে এক বেদজ্ঞ, দূরদর্শী, সত্যবাদী ও প্রজাপ্রিয় রাজা ছিলেন। কৌশল্যা, কৈকেয়ী ও সুমিত্রা নামে রাজা দশরথের তিন রানি ছিল। অনেক দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তাঁর কোনো সন্তান না হওয়ায় তিনি সন্তান কামনায় অশ্বমেদ যজ্ঞের আয়োজন করেন। ঋষ্যশৃঙ্গ নামক এক মুনি যজ্ঞের পৌরহিত্য গ্রহণ করেন। এই সময়ে দেবতারা রাবণ নামক এক পুলস্ত্য-বংশীয় রাক্ষসের অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে ব্রহ্মার শরণ হন। রাবণ ব্রহ্মার কাছে বর পেয়েছিলেন যে, কোনো দেবতা, গন্ধর্ব, যক্ষ ও রাক্ষসের হাতে তার মৃত্যু নেই। কিš‘ মানুষ তাঁকে বধ করতে পারবে। তাই ব্রহ্মার অনুরোধে দেবতারা বিষ্ণুর কাছে প্রার্থনা করেন, তিনি যেন মনুষ্য রূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে রাবণকে বধ করেন। দেবতাদের প্রার্থনায় তুষ্ট হয়ে বিষ্ণু দশরথের তিন রানির গর্ভে জন্মগ্রহণ করতে সম্মত হন। যজ্ঞের সময় দশরথের ঐ যজ্ঞের অগ্নি থেকে পায়েসে পরিপূর্ণ পাত্র হাতে এক প্রজাপতি প্রেরিত পুরুষ উঠে আসলেন এবং দশরথকে বললেন, ‘মহারাজ, এই দেবনির্মিত সন্তানদায়ক পায়েস আপনার পতœীদের খেতে দিন।’ তারপর দশরথ ঐ পায়েসের অর্ধাংশ কৌশল্যাকে, অবশিষ্ট অর্ধেকের অধাংশ সুমিত্রাকে এবং অবশিষ্ট অর্ধেকের অর্ধাংশ সুমিত্রাকে খেতে দিলেন অর্থাৎ ১৬ ভাগের ৮ ভাগ কৌশল্যাকে, ৪ ভাগ কৈকেয়ীকে এবং ২ ভাগ সুমিত্রাকে খেতে দিলেন। এখান থেকেই শুরু হলো রামায়ণের কাহিনি।
Rahim Shah-১৯৫৯ সালের ৩রা অক্টোবর চট্টগ্রামের পশ্চিম বাকলিয়ায় রহীম শাহ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আদিবাস চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার মোহাম্মদপুরের কাজীবাড়ি। কে. এম. আবদুস শুকুর এবং সৈয়দা রিজিয়া বেগমের পঞ্চম সন্তান তিনি। পেশায় সাংবাদিক। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম কর্মী রহীম শাহ শিশু ও পরিবেশবিষয়ক বেসরকারি সংস্থা শাপলা দোয়েল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং এনসিসি (নেচার কনজারভেশন কমিটি)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট। প্রধানত শিশু-কিশোর সাহিত্যের লেখক। ১৯৭০ সাল থেকে লেখালেখির শুরু। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পত্রপত্রিকার নিয়মিত লেখক। এ-পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৫২। সাহিত্যকর্মের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে সম্মানিতও হয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পুরস্কার, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান স্বর্ণপদক, মওলানা ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার, জসীমউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার, আবদুল আলীম স্মৃতি পুরস্কার, শিশু-কিশোর নাট্যম শিশুসাহিত্য পুরস্কার, আমরা কুঁড়ি শিশুসাহিত্য পদক, চন্দ্রাবতী একাডেমী শিশুসাহিত্য সম্মাননা, কথন শিশুসাহিত্য পদক, কবি কাজী কাদের নওয়াজ স্মৃতি স্বর্ণপদক, কবি গোবিন্দচন্দ্র দাশ সাহিত্য সম্মাননা এবং নওয়াব ফয়জুননেসা স্বর্ণপদক-এ ভূষিত হয়েছেন।