নফল ইবাদত যতই ছোট হোক, তা যদি নিয়মিত এবং অভ্যাসে পরিণত করা হয়, তাহলে এর প্রতিদানও বড় হয়ে যায়। আল্লাহ চাইলে নফল ইবাদতের অসিলায় বান্দার গুনাহ মাফ করে দিতে পারেন। কিয়ামতের দিন অনেক ইমানদার থাকবেন, যারা দুনিয়াতে বেশি বেশি নফল ইবাদতের কারণে জান্নাত লাভ করবেন। দৈনিক অনেক নফল ইবাদত আছে, যা সহজেই করা যায়। এর সাওয়াবও বেশি। যেমন : সাধ্যমতো নফল নামাজ পড়া, জরুরি মাসআলা-মাসায়িল শিক্ষা করা, জিকির, তাসবিহ-তাহলিল, দুরুদ পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা, কবর জিয়ারত করা, প্রয়োজনের সময় মাসনুন দুআগুলো পড়া, দান-সাদাকা করা, আল্লাহর সাহায্য চাওয়া, নিয়ত পরিশুদ্ধ করা, সর্বদা অজু অবস্থায় থাকা, এমনকি হাসিমুখে কথা বলাও নফল ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। দুআ ইবাদতের মগজ। সব ধরনের কল্যাণ ও বরকতের হাতিয়ার। আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে দুআর বিকল্প নেই। কেননা, দুআর মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার বিশেষ যোগসূত্র তৈরি হয়। আল্লাহর প্রতি বান্দার আনুগত্য ও তাঁর প্রতি বিশ্বাস প্রকাশ পায়। দুআ একদিকে বান্দার দীনতা, হীনতা, অক্ষমতা ও বিনয়ের প্রকাশ ঘটায়, অপরদিকে আল্লাহর বড়ত্ব, মহত্ত্ব, সর্বব্যাপী ক্ষমতা ও দয়া-মায়ার প্রতি সুগভীর বিশ্বাস গড়ে তোলে। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দুআ করা।