সাম্রাজ্যের কবরস্থান খ্যাত আফগানিস্তানকে একের পর এক সামরিক পরাশক্তি দখল করার চেষ্টা করেছে বিভিন্ন যুগে। এরই ধারাবাহিকতায় এসেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন! . কিন্তু তারা আফগান মুজাহিদদের হাতে এমন মার খেয়েছিল, যার ক্ষত দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভুলতে পারেনি! বিস্মিত হয়ে তারা ভাবতো, কী এমন শক্তিবলে আমাদের এত এত আধুনিক অস্ত্রের বিপরীতে আফগান মোল্লারা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে সামান্য টুকিটাকি কিছু অস্ত্র দিয়ে! . তারা প্রায় পাগলপারা হয়ে গিয়েছিল চোখের সামনে একের পর এক আফগান মুজাহিদদের বীরত্ব ও সাহসিকতা দেখে! . অতঃপর একদিন তাদের সেই না-পাওয়া-উত্তর পাওয়া যায় একজন ফরাসি সাংবাদিকের জবানে। . তিনি বলেন, আফগানিস্তানে আমি আল্লাহকে দেখেছি! . আফগান জিহাদে শহিদ হয়েছিলেন বিশ লক্ষ মুসলিম। ঘরবাড়ি ছেড়ে পাকিস্তান ও ইরানে রিফিউজি হয়েছিলেন আরও ষাট লক্ষ আফগান। তবুও আফগান মুজাহিদরা দমে যাননি। . মুজাহিদদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে একদিন পরাজয় বরণ করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। . আফগান রণাঙ্গনে ঘটে যাওয়া আল্লাহর কিছু অলৌকিক সাহায্যের গল্প নিয়েই রচিত এই বিখ্যাত ও আলোচিত গ্রন্থ ‘আফগানিস্তানে আমি আল্লাহকে দেখেছি’। . অনেক বছর ধরেই বইটি নানান প্রেসারের কারণে ছাপার মুখ দেখতে পারেনি। অবশেষে রাহনুমা'র পরিবেশনায় সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ ও পরিবর্ধিত নতুন সংস্করণ পাঠকের হাতে আলহামদুলিল্লাহ। .
কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান দেশবরেণ্য আলেমে-দীন ও সংসদ সদস্য মাওলানা আতাউর রহমান খান (রহ.) -এর বড় ছেলে মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী। তিনি দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। নদভী দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেছেন ১৯৮৩ সালে কিশোরগঞ্জ এর জামিয়া ইমদাদিয়া থেকে। এরপর চট্টগ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া থেকে আরবি সাহিত্যে তাখাসসুস করেছেন ১৯৮৪ সালে এবং স্নাতক সম্পন্ন করেছেন ১৯৮৫-৮৬ সালে ভারতের নদওয়াতুল ওলামায়। এম.এ ডিগ্রী নিয়েছেন ১৯৯৪ সালে। এরই মাঝে আবার ১৯৮৫ সালে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামি দাওয়াহ ও সংস্কৃতির ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৯৯২ সালে রাষ্ট্র ও রাজনীতি বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করেছেন। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মিডিয়ার ওপর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কোর্সও করেছেন জনাব নদভী। উবায়দুর রহান খান নদভীর পিতার নাম মাওলানা আতাউর রহমান খান এবং মাতার নাম মুরশিদা-ই-আমিনা। ১৯৬৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের জামিয়া রোডস্থ নূর মঞ্জিলে জন্মগ্রহণ করেন নদভী। ২৫ বছর যাবৎ জুমআর নামাজের খতিব হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন ঢাকার মিরপুরস্থ মদিনা নগর মসজিদে। ১৯৭৮ সালে দৈনিক আল-আজাদে মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। লেখার নাম ছিলো সাহিত্য সাধনা। গুণী এই মানুষটি অর্জন করেছেন বেশ কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা। কিশোরগঞ্জ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ পদক, শুরূক সাহিত্য পদক, শিকড় সম্মননা পদক, আদর্শ নারী গুণীজন সম্মাননা এবং মারকাজুত তাহফিজ সম্মাননা তন্মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য।