পরাশক্তিরা কোনো একটা দেশ বা ভূখণ্ড সরাসরি দখল না করে সেখানকার অধিকাংশ মগজকে দখল করে নেয়। এক্ষেত্রে পরাশক্তিরা নিজেদের আইনকানুন, নিয়মনীতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষাব্যবস্থাকে সুকৌশলে সেই দেশ বা ভূখণ্ডে প্রবেশ করায়। তাদের এই কাজটি তারা বাস্তবায়ন করে দুর্বল জাতির কিছু বিশ্বাসঘাতকের মাধ্যমে। বিশ্বাসঘাতকরা সুশীল, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, ডাক্তার, বিচারক, গবেষক, অর্থনীতিবিদ, লেখক, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, খেলোয়াড় ইত্যাদি নামে পরিচিত। পরাশক্তিরা নিজেদের অর্থ, শ্রম, মেধা ব্যয় করে কাঙ্ক্ষিত দেশ বা ভূখণ্ডে উক্ত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটা দালালশ্রেণি গড়ে তোলে; যারা সেখানে তাদের পক্ষ হয়ে কাজ করবে, তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে। এই দালালরা চলনে, বলনে, পোশাকে, সুরতে নিজ জাতির মানুষদের মতোই। তবে চিন্তাচেতনায় এরা প্রভু-পরাশক্তির পা চাটা গোলাম। এই বিশ্বাসঘাতকদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো– প্রভু-পরাশক্তি কর্তৃক গৃহীত আগ্রাসী পদক্ষেপগুলোকে ইতিবাচকভাবে নিজ জাতির কাছে উপস্থাপন করা। প্রভুরা অবৈধ যা-ই করুক না কেন, সর্বসাধারণের সামনে সেসব কাজের একটা বৈধতা দাঁড় করানো। নিজ জাতিকে তারা বোঝানোর চেষ্টা করে যে, তারা (পরাশক্তি) যা-ই করছে, মানবজাতির কল্যাণের জন্যই করছে। এমনকি প্রভুদের দ্বারা অন্য কোনো দুর্বল জাতির ওপর চালানো গণহত্যার পেছনেও এই দালালরা যুক্তি দাঁড় করায়। এমনকি এই বিশ্বাসঘাতক দালালরা যেই ভূখণ্ডের অধিবাসী, প্রভু-পরাশক্তি যদি কখনো সেটাকেও দখল করে ফেলে, তবুও সেই অবৈধ দখলদারির পক্ষে তারা সাফাই করে প্রভুভক্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।