১. MCQ ও Written এর সমন্বয়ে দেশের প্রথম ও একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি গাইড। ২. Text book ও বাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ সর্বশেষ তথ্য দিয়ে অধ্যায়ভিত্তিক উপস্থাপন। ৩. অনুশীলনের জন্য টপিকভিত্তিক পর্যাপ্ত মানসম্মত MCQ ও সর্বাধিকসংখ্যক বিগত বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছে। ৪. পাঠ্যবইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য ও অনুশীলনীর সকল MCQ প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে তা বিভিন্ন Type-এ ধাপে ধাপে সংযোজন। ৫. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার বিগত প্রশ্ন এবং পাঠ্যবই ও ব্যাকরণ বইসমূহের প্রশ্ন অধ্যায়ভিত্তিক সংযোজন। তাছাড়া, লিখিত অংশে এককথায়, সংক্ষিপ্ত ও বর্ণনামূলক প্রশ্ন সংযোজন। ৬. Text Book ও বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য সহজ, সরল, সাবলীল ও অভিনব কৌশলে ধারাবাহিকভাবে সাজানো হয়েছে। ৭. ঢাবি, জাবি, রাবি, চবি, GST গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত সকল প্রশ্ন অধ্যায় ও Topic/Type ভিত্তিক বণ্টন, নির্ভুল উত্তর ও সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান। ৯. নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণের কঠিন বিষয়কে সহজ ও সাবলীল ভাষায় অধ্যায়ভিত্তিক উপস্থাপন। ১০. বাগধারা, এক কথায় প্রকাশ, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, বাক্যশুদ্ধি, শব্দ ইত্যাদির পরিপূর্ণ তথ্য সংযোজন। ১১. যেসব শিক্ষার্থী গ্রাম বা মফস্বল শহরের বাসায় বসে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের একমাত্র অবলম্বন বাংলা Flex। ১২. বইটির প্রতি অধ্যায়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, MCQ ও লিখিত প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছে, যা থেকে প্রায় শতভাগ প্রশ্ন কমন আসবে ইনশাল্লাহ। ১৩. সর্বশেষ কথা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার স্বল্পসময়ে দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য বাংলা Flex এর বিকল্প নেই। ১৪. বইটি ভালোভাবে পড়লে অন্য কোনো বই, নোট, গাইড, লেকচার শিট কিংবা কারো সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থীই বুঝে উঠতে পারে না, কীভাবে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পড়াশোনা করা উচিত। এখানে আমরা জানাবো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বাংলায় কী কী বিষয়ে প্রশ্ন হয় এবং কীভাবে এসব প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলায় মোট নম্বর থাকে ৩৫। এর মধ্যে ১৫ নম্বরের (MCQ) এবং ২০ নম্বরের লিখিত উত্তরের জন্য প্রশ্ন থাকে। পরীক্ষার শুরুতে প্রথম ৪৫ মিনিটে MCQ-এর উত্তর করতে হয়, পরবর্তী ৪৫ মিনিট থাকে লিখিত অংশের উত্তরের জন্য। প্রথমে আমরা MCQ নিয়ে কথা বলব। MCQ অংশে মূলত তিনটি বিষয় প্রাধান্য পায়। এই তিনটি বিষয় হলো যথাক্রমে- ১. বাংলা সাহিত্য ২. ব্যাকরণ ৩. বিরচন বাংলা সাহিত্যের সকল গদ্য, পদ্য, উপন্যাস ও নাটকের লাইন টু লাইন ব্যাখ্যাসহকারে পড়তে হবে। আমাদের বাংলা Flex বইটির সাহিত্য অংশ ভালোভাবে অনুসরণ করলে শতভাগ MCQ প্রশ্ন কমনের সম্ভাবনা থাকবে। এবার লিখিত অংশ নিয়ে কথা বলি। লিখিত অংশে কয়েক রকমের প্রশ্ন হতে পারে। যেমন- অনুচ্ছেদ থেকে অনুধাবন প্রশ্ন, সারাংশ সারমর্ম, ভাব-সম্প্রসারণ, বাক্য গঠন, ব্যাখ্যা অথবা বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ ইত্যাদি। এই টপিকগুলোতে দক্ষতা অর্জন করতে হলে প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে প্র্যাকটিস। কেননা, মুখস্থ করে এসব লিখিত বিষয় ভালোভাবে লেখা সম্ভব নয়। এর সমাধান হিসেবে এই বইয়ে প্রত্যেকটা টপিকের উদাহরণ এবং প্রচুর পরিমাণে প্র্যাকটিস আইটেম দেওয়া আছে। এগুলো কোনো শিক্ষার্থী অনুশীলন করলে শতভাগ কমন পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরে আছে ব্যাকরণ অংশ। ব্যাকরণ বলতে শুধু HSC লেভেলের নয়, বরং ব্যাকরণ একেবারে Basic থেকে Advanced লেভেল পর্যন্ত সব বিষয় নিয়েই প্রশ্ন করা হয়। HSC সিলেবাস ব্যতীত নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণের সকল টপিক খুব গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। যদিও এই বইতে শুধুমাত্র ঐ টপিকগুলোই দেওয়া আছে, যেগুলো থেকে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়। এই বইয়ে যেসব টপিক আছে, সেগুলো যদি একজন শিক্ষার্থী খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারে, তাহলে তার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় পুরোপুরিভাবে উত্তর করা সম্ভব হবে। এরপরে আছে বিরচন অংশ। এখান থেকে সীমিত কিছু বিষয়ের উপর পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। যেমন- সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ ইত্যাদি। এই টপিকগুলোর আদ্যোপান্ত নিজেকেই আত্মস্থ করতে হবে। তাহলে কমন পড়ার সম্ভাবনা থাকবে অনেক বেশি। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে চাইলে বাংলায় পূর্ণাঙ্গ দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। আর সেই পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা তৈরি করার জন্য বাংলা Flex আছে তোমাদের সাথে।