মুগ্ধতার মৃত্যু মুগ্ধতা,জীবনের এক অভিনব প্রচ্ছদ যার বর্ণময়তায় প্রসূনতুল্য সুদৃশতাও হার মানে, মুগ্ধতা,এক নির্বাক অনুরক্তিপূর্ণ আবিষ্টতা যার সমৃদ্ধতায় তাবৎ হিরণ্যকও পড়েনা দৃষ্টে। এ এমনই এক আসক্তি,যা পরতে পরতে মোহিত করে, এ এমনই এক অজানা তিয়াস যা সর্বগাত্রে শিহরণ তোলে। মানুষ বড়ই অদ্ভুত প্রাণী স্বল্পতেই নিমগ্ন হয় সৃজিতায়, আবার মুগ্ধতার মৃত্যু হলে অকস্মাৎ রূপ নেয় মেঘমালায়। মেঘেরা যেমন তাবৎ জায়গায় ঘুরিয়া বেড়ায় সর্বদা, মূঢ়তার এরূপ অন্তর্ধানে মানুষও রূপ নেয় তেমনটা। কেউ মূঢ়তায় হয় বিহ্বল কারো হাসির ঘনঘটায়, কেউ আবার হয় বিহ্বল অচেনা মায়ার স্ফুরণতায়। রূপের আবেশে হয়তো কেউবা মোহিত হয়ে রয় চাহিয়া, মায়ার শিকড়ে কেউবা আবার খুঁজিয়া বেড়ায় মুগ্ধতা। কিন্তু যখনই সেই কারণটা মোহিত করে যায় চলিয়া, ঠিক তখনই হয় অন্তর্ধান অতীতের সেই সব মূঢ়তা। মানুষ তখন ভগ্নহৃদয়ে অচিরেই এক প্রস্তররূপ করিয়া ধারণ, প্রহর গোনে ঘটিবে কবে সংবরণ? তাইতো বলি মুগ্ধতার যবে ঘটিবে মৃত্যু দৈবাৎ, মেঘের মতোন মানুষও সেদিন পাবেনা খুঁজে দিশদাশ। সময় থাকিতে তাইগো তুমি করিয়া লহো অভ্যাস, মুগ্ধতাহীন কেমন করিয়া করিবে পূরণ অভিলাষ। জীবন তোমার নয়তো নিছক অমূল্য কোন বস্তু, যা করিয়া নস্যাৎ সামান্য হেতু হইবে তুমি প্রস্তুত। তাই অন্যতে না হইয়া মুগ্ধ নিজেতে আনো নব প্রণয়, এতে নিজ সত্তার অর্বাচীনতায় জীবন হইবে মুগ্ধময়। রাখিয়ো মনে মূঢ়তার কেবল তখনই হইবে অন্তর্ধান, যখন তুমি অপর সত্তায় হইবে নিমজ্জ্ব সহসাই। কাজেই নিজেকেই করো প্রস্তুত এমনে অপরে যাতে হয়না বিমূঢ়, মুগ্ধতা যেন তোমারই মাঝে সকলের ন্যায় হয় প্রস্ফুট।