নদীনালা খাল—বিল ও সবুজ প’কৃতিঘেরা নিভৃত পল্লী অঞ্চল ঢাকা জেলার ধামরাই থানার কুল্লা ইউনিয়নের সিতী গ্রাম। এই গ্রামে বাস করতেন অতি সাধারণ সহজ সরল সৎ চরিত্রের অধিকারী শ্রী নিরদ চন্দ্র সরকার এবং তাঁর সহধর্মিণী শ্রীমতী চরণ দাসী সরকার। তাঁদের ঔরসজাত সন্তান, পুণ্যবান, বুদ্ধিদীপ্ত মানবদরদী সাধু সন্ন্যাসী প’কৃতির কবি জন্মলাভ করেন। তাঁরা তার নাম রাখেন শ্রী হরিপদ সরকার। শুভক্ষণে তার জন্ম ১৯৪৮ ইং সালে, গ্রামের বাড়িতেই বেড়ে উঠা কৈশোর এবং শৈশব, লেখাপড়ার যোগ্যতা তৎকালীন আই.এ পাশ করার পরে উচ্চশিক্ষিত হতে পারে নাই ঠিকই কিšদ জানার আগ্রহ থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন প’কৃতির ভূমিপুত্র ও পন্ডিতসম এক জ্ঞানী পুরুষ। ভরা যেদ্ববনে তিনি বিবাহ করেন শ্রীমতী দূর্গারাণী সরকারকে। দুইজনে দেওহাটা নিবাসী শ্রী শ্রী সুধন্য গোস্বামীর নিকট দীক্ষালাভ করেন এবং শিক্ষাগুরু কবিয়াল যোগেশ চন্দ্র গোস্বামী উভয় গুরুর নিকট হইতে আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং সাধুগুরু বৈষ্ণবের কৃপায় আধ্যাত্মিক জ্ঞান সাধন করেন। উভয়ের দাম্পত্য জীবন ছিল পরম আনন্দের ও সুখময়। পর্যায়ক্রমে আধ্যাত্মিক জ্ঞানচর্চা করিতে করিতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখালেখি শুরু করেন। ভালোবাসেন গান ও হৃদয়ে লালন করেন ধর্মীয় বিশ্বাস। ক্রমান্বয়ে আধ্যাত্মিক সাধক অধম পাগল শ্রী হরিপদ সরকার নামকরণ করেন। অত্র এলাকার জনগণ তাকে শ্রদ্ধাভক্তি করেন। তার রচিত একটি ফিচারে কোভিড ১৯ নিয়ে কবিতা আকারে প্রকাশ হলে মানুষের কাছ থেকে সুনাম অর্জন করেন। পরবর্তীতে তারই রচিত ্রআত্ম উপলব্ধি জ্ঞান” নামক একটি বই প্রকাশ পায়, তাতে জ্ঞান গর্ব উপদেশমূলক বাণী সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ আছে। এরপর এবার আরেকটি বই বের হচ্ছে যার নাম ্রকথামৃত বাণী” এটিও একটি আধ্যাত্মিক জ্ঞানের বই, এটি তার দ্বিতীয় একক বই।