ফ্ল্যাপে লিখা কথা এডভোকেট শেখ আখতার উল ইসলাম। লেখক, আইনবিদ ও রাজনীতিবিদ। ষাটের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা, একজন বলিষ্ঠ যুবনেতা, উন্নয়ন কর্মী, সংগঠক, সমাজসেবক ও মানবাধিকার কর্মী। শেখ আখতার উল ইসলাম ১৯৫৩ সালের ৫ জুলাই সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানার ভাদেশ্বর শেখ পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শেখ আনোয়ার উল ইসলাম (মানিক মিয়া) ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক। মা লফিয়া খানম চৌধুরী ছিলেন একজন বিদুষী মহিলা ও সমাজ সেবিকা। দাদা ডা. শেখ আব্দুল রহীম ছিলেন একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ লেখক এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রথমসারির একজন সৈনিক। ছয় ষাই ও চার বোনের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ শেখ আখতার উল ইসলাম মক্তব ও পাঠশালার পাঠ শেষে ভর্তি হন ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন হাইস্কুলে। একজন মেধাবী ছাত্র রূপে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, গান বাজনা ও নাট্য চর্চাসহ স্কাউট আন্দোলনে তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। মানুষের দুঃখ-দুর্ধশা, শ্রেণী-বৈষম্য বিশেষ করে বৈষম্যমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা কৈশোরেই তাকে ব্যথিত ও মর্মাহত করে তুলে। আর তাই দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নকালে গণমুখী শিক্ষার দাবিতে এবং কুখ্যাত হামদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের দাবিতে গড়ে উঠা ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যোগ দিয়ে তিনি ছঅত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে গোপালগঞ্জ থানা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এবং সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ছাড়াও তিনি সিলেট শহর ছাত্র ইউনিয়নের সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ-সময় তার সাথে পরিচয় ঘটে বাঙালি জাতিসত্তার অভ্যুদয়ের অন্যতম মহানায়ক, মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে সিপাহসালার বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর সঙ্গে।
সত্তরের নির্বাচনে বিজয় লাভের পর বাঙালির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী টালবাহানা শুরু করলে আরম্ভ হয় স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন। একাত্তরের ২৭ মার্চ নিজ গ্রাম ভাদেশ্বরের মোকামবাজারে সহকর্মীদের নিয়ে শেখ আখতার উল ইসলাম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। শুরু হয় গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ আখতার উল ইসলাম ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সিলেটের ১১ জন ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকে নিয়ে আওয়ামী যুবলীগে যোগ দেন।
স্বাধীনচেতা ও দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ী ব্যক্তিত্ব শেখ আখতার উল ইসলাম ১৯৯৩ সালে আইন পেশায় যোগ দেন। সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ট্রাইবুনালের সদস্য নিযুক্ত হন এবং বহু আন্তর্জাতিক আইন সম্মেলনে যোগদেন। আইন পেশা ও রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বহু সামাজিক সংগঠনের সাথেও সম্পৃক্ত। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখা শুরু করেন। ১৯৯২ সালের ২৮ জুন দৈনিক সংবাদে ‘গরিব গোরে দীপ জ্বেলনা’ শিরোনামে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবহেলিত সমাধি নিয়ে প্রকাশিত তার লেকা উপ-সম্পাদকীয় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং একজন কলাম লেখক রূপে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। তার পর থেকে অদ্যাবধি তিনি নিয়মিত লিখে চলেছেন। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় লেকা কতার নির্বাচিত কলাম নিয়ে ২০০৫ সালে একুশের বই মেলায় উৎস প্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই ‘কালের ধ্বনি’।
Title
স্বাধীনতা যুদ্ধের সিপাহসালার বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ আখতার উল ইসলাম ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে সিলেটের ১১ জন ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকে নিয়ে আওয়ামী যুবলীগে যােগ দেন। স্বাধীনচেতা ও দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ী ব্যক্তিত্ব শেখ আখতার উল ইসলাম ১৯৯৩ সালে আইন পেশায় যােগ দেন। সুপ্রিমকোর্ট বার এসােসিয়েশনের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ট্রাইবুনালের সদস্য নিযুক্ত হন এবং বহু আন্তর্জাতিক আইন সম্মেলনে যােগদেন। আইন পেশা ও রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বহু সামাজিক সংগঠনের সাথেও সম্পৃক্ত। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখা শুরু করেন। ১৯৯২ সালের ২৮ জুন দৈনিক সংবাদে ‘গরিব গােরে দীপ জ্বেলনা' শিরােনামে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবহেলিত সমাধি নিয়ে প্রকাশিত তার লেখা উপ-সম্পাদকীয় ব্যাপক আলােড়ন সৃষ্টি করে এবং একজন কলাম লেখক রূপে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। তার পর থেকে অদ্যাবধি তিনি নিয়মিত লিখে চলেছেন। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় লেখা তার নির্বাচিত কলাম নিয়ে ২০০৫ সালে একুশের বই মেলায় উৎস প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই ‘কালের ধ্বনি'।