শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আসুন আমরা Business Communication-এর Introduction অধ্যায়ে কি কি বিষয় পড়ব সে সম্পর্কে সহজভাবে একটা ধারণা নেয়ার চেষ্টা করি। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই আমরা নিজের কিংবা অন্যের প্রয়োজনে আমাদের অনুভূতি, আবেগ, ধারণা বা মতামত প্রকাশ করি এবং প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময় (আদান-প্রদান) করি এটাই যোগাযোগ বা Communication. শুধু ব্যক্তিগত জীবনেই নয়, ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেও যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রকৃতপক্ষে আধুনিক যুগে মনে করা হয় প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বৃদ্ধি তথা সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুষ্ঠু যোগাযোগ অপরিহার্য। ব্যবসায়ের আশানুরূপ উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ (Internal Communication) এবং প্রতিষ্ঠানের বাইরে ক্রেতা, পাওনাদার, শেয়ারহোল্ডারগণ, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বাহ্যিক যোগাযোগ (External communication) উভয় ক্ষেত্রেই সফল হওয়া প্রয়োজন। যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে- লিখিত, মৌখিক, অমৌখিক ইত্যাদি। যে মাধ্যমই হোক না কেন অর্থাৎ আপনি মুখের কথার মাধ্যমে বা লিখিতভাবে যেভাবেই যোগাযোগ করুন না কেন, যোগাযোগের একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া (Process) রয়েছে। প্রথমে প্রেরক তথ্য বা বার্তা তৈরি করেন ও সেটাকে নিজের মত করে গুছিয়ে প্রেরণ করেন, এরপর পাঠক বা প্রাপক তথ্য/বার্তা গ্রহণ করেন, বুঝার চেষ্টা করেন এবং সবশেষে প্রতিউত্তর (Feedback) দিয়ে থাকেন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষাগত বাধা, ধারণাগত বাধা, মাধ্যম সংক্রান্ত বাধা প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের বাধা (Barriers) রয়েছে। এসব বাধাকে দূর করে, পাঠক বা তথ্য প্রাপকের (Receiver) মনোভাব বুঝে তথ্য প্রেরণ করতে পারলেই যোগাযোগের সেতু (Bridge of Communication) স্থাপন করা সম্ভব।
Title
বিজনেস কমিউনিকেশন এন্ড রিপোর্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট অফ একাউন্টিং এন্ড ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং (২২২৫১৩,২২২৪১৩) - Depertment of Accounting and Finance and Banking