ভালোবাসা স¦র্গীয়, অনন্ত, অসীম বলা হলেও সত্যি কি মানুষ ধনী-গরিবের বৈষম্য ভুলে ভালোবাসাকে ভালোভেবে গ্রহণ করতে পেরেছে? বর্তমান সময়ে এসেও মানুষ যে অর্থ-সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তির মোহ হতে বের হতে পারেনি তা সর্বত্র পরিলক্ষিত হয়। একজনের ব্যক্তিগত সকল যোগ্যতা থাকার পরেও শুধু পারিবারিক মর্যাদা না থাকার কারণে কিভাবে নিজের কন্যার সব কামনা-বাসনাকে কবর দিয়ে তাকে মৃত্যুর পথযাত্রী করা যায় এবং তার প্রেমিকাকে অমানবিক নির্যাতন করে পাগলে পরিণত করা যায় তারই কাহিনী। “আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমাকে চাই” উপন্যাসে রস-রসিকতা মধ্যে দিয়ে চিত্রায়িত করেছে। ভালোবাসা প্রতিনিয়ত পরাস্ত হয় মানুষের অর্থের লালসার কাছে। ভালোবাসা প্রতিনিয়ত পরাস্ত হয় মানুষের মনুষত্বের ঘাটতির কারণে। যে সমাজে মানসিক সুখ শান্তির চেয়ে অর্থনৈতিক সুখ শান্তিকে বড় করা দেখা হয়। এখনও গ্রাম বাংলায় শহরে বয়স্ক বুড়ো লোকের হাতে অর্থলোভে কচি মেয়েটাকে তুলে দেওয়া হয়। এখনও মানুষ এটা জানে না যে আত্মতৃপ্তির অপর নাম সুখ। এটা কেবল একটা ছেলে মেয়ের চাওয়া পাওয়ার বাস্তব রূপের মধ্যে সম্ভব। উপন্যাসে একটা ছেলে বা মেয়ে কোনটা পেলে দুনিয়াতে পরম সুখ অনুভব করতে পারে তা খুবই সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে। সুখ-দুঃখের জীবনে উত্থান-পতন হয় তা লেখকের নিপুণ দক্ষতায় ফুটে উঠেছে। সফল হোক সকল প্রেমিক- প্রেমিকার আগামী পথ চলা। উপন্যাসের প্রেমিক-প্রেমিকার মতো সব পেয়েও যেন সমাজের লোভী মানুষের কারণে সহিতে না হয় কোনো জ্বালা।
মাে: আফজাল হােসেনের জন্ম ১৯৮৬, রাজশাহী জেলার বাগমারা থানা, শ্রীপুর গ্রামে। পিতা মরহুম মাে: ইব্রাহীম হােসেন, মাতা সুফিয়া বেগম । বাগমারা গভঃ প্রাইমারী স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা, এস এস সি শ্রীপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, এইচ এস সি ভাবানিগঞ্জ কারিগরী ও ব্যাবস্থাপনা কলেজ, ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমা ইন বিজনেস ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি (uk)। তিনি ছােটবেলা থেকেই সাহিত্যের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সাহিতের প্রায় সকল শাখাতেই তার অবাধ বিচরণ এবং লিখেই চলেছেন। প্রকাশিত বই: উপন্যাস: একটু ভালবাস, ভালবাসার স্বর্গ, প্রতীক্ষা এক মুঠো বৃষ্টির, অপেক্ষা কর যদি ভালােবাসাে, কাব্যগ্রন্থ, এক ফোঁটা অশ্রু।