পুষতে মানা ভূতের ছানা বইটিতে মোট গল্প বারোটি। প্রথম গল্প কুসমি। শিক্ষিকা শারমিন নতুন স্কুলে যোগদান করতেই কুসমি নামের এক মিষ্টি মেয়ের মায়ায় জড়িয়ে যান। মেয়েটির পরিচয় খুঁজতেই বেড়িয়ে যায় এক রহস্য। বইয়ের দ্বিতীয় গল্প ছোটোচাচ্চু। আলভীর সাথে তার ছোটোচাচ্চুর ভীষন ভাব। এক দুর্ঘটনায় ছোটোচাচ্চু নিখোঁজ হন। কিন্তু হঠাৎ একদিন অদ্ভুতভাবে আলভী দেখা পায় তার ছোটোচাচ্চুর। কিন্তু সে কি আসলেই ছোটোচাচ্চু? তৃতীয় গল্প মুমুর স্বপ্ন এ গল্পটি এক স্বপ্নবাজ শিশুর গল্প। শিশুটি দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে শিশুটির স্বপ্নই তাকে বাঁচিয়ে আনে। এরকম আরও অসম্ভব সুন্দর কিছু গল্প যেমন টিপুদের নতুন বাসা, বন্ধু না ভূত, ভূতবন্ধুর খপ্পরে, সেদিন মধ্যরাতে, পরি, ভূত তাড়ালো শিপলুমামা, ভূতের নাম ইমলি, পুতুলের জন্য এবং পুষতে মানা ভূতের ছানা দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। বইটি পড়ে পাঠক এক অদ্ভুত অনুভূতি লাভ করবে। কখনো ভয় পাবে, কখনো হাসবে, কখনো তীব্র মায়ায় তার চোখ ভিজে উঠবে। শিশুকিশোররা ভূতের গল্প পড়তে এবং শুনতে ভালোবাসে। পুষতে মানা ভূতের ছানা বইটি শিশুকিশোরদের কল্পনাশক্তিকে প্রসারিত করবে। বইটির প্রত্যেকটি গল্প তাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে নিঃসন্দেহে।
লেখক নাম দিলরুবা নীলা। পুরাে নাম দিলরুবা। আফরােজ নীলা । মানিকগঞ্জে স্থায়ীবাস হলেও জন্মস্থান পিরােজপুর জেলায়। বাবা মতিউর রহমান। সরদার ও মাতা মেহেরুন নিগার সুলতানা’র বড়। কন্যা, দিলরুবা নীলা পেশায় একজন শিক্ষক ।। ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখির নেশা। সেই নেশা। থেকেই ২০১৯-এ ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয় তাঁর। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অভিমানের নীলপাহাড়’ সংসার আর। শিক্ষকতার মাঝে তার অবসর কাটে লেখালেখি আর বই পড়ে। অভিমানের নীলপাহাড় (কাব্যগ্রন্থ) অপুর অভিযান (শিশুতােষ উপন্যাস)। অপারিজত নিরানব্বই (যৌথ গল্পগ্রন্থ)। পরিচয়ে আমি বাঙালি (যৌথ কাব্যগ্রন্থ)।