তত্ত্ব আকারে ‘নারীবাদ’ অত্যন্ত আধুনিক একটি ধারণা হলেও সমতার জন্য নারীর সংগ্রামটি নারী-পুরুষের বৈষম্যের সমবয়সী। সাহিত্যের আর সব শাখার মতো নাটকেও এর অজস্র নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে ইউরিপিডিসের লেখা মেডিয়া নাটকে অধিকারবঞ্চিত নারীর যন্ত্রণা ও প্রতিঘাতের দৃশ্য যেমন মিলবে, তেমনই বিংশ শতাব্দীতে রচিত নাটক রাইজ অ্যান্ড শাইন নাটকেও ভিন্ন রূপে পাওয়া যাবে নারীর দৈনন্দিন জীবনের বঞ্চনার সাক্ষাৎ। বিশ্বসাহিত্যের সাতটি প্রধান নাটক এখানে দুই মলাটের ভেতর সংকলিত আছে। এর নাট্যকাররা তাঁদের কালের সীমাকে অতিক্রম করেছেন, নাটকগুলোর অধিকাংশও ইতিমধ্যেই ধ্রুপদী অভিধায় ভূষিত হয়েছে। পরিবার, প্রেম, যৌনতা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতি—সকল কিছুরই নতুন মর্মার্থ ও তাৎপর্য আমাদের সামনে হাজির করেছে এ সাতটি নাটকের নারী চরিত্রগুলো, তাঁরা হয়ে উঠেছেন সমষ্টির কণ্ঠ। বিশ্বসাহিত্যের সাতটি নারীবাদী নাটক-এর বিষয়বস্তুগুলো তাই আমাদের খুবই পরিচিত হলেও সেগুলোরই গভীরতর এবং ভিন্নতর একটি পাঠ আবহমানকালের দর্শক ও পাঠকের সামনে হাজির করেছে এই নাটকগুলো।