আবদুল মালেক বীরপ্রতীক। বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলার শ্রেষ্ঠ সাহসী সন্তান। জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করতে অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন। আবদুল মালেক বীর প্রতীকের সঙ্গে পরিচয় এবং সাক্ষাতের পর থেকেই তাঁর সংগ্রাম মুখর দিনগুলোর কথা মলাটবন্দি করার প্রচেষ্টায় ছিলাম। আজ সে প্রচেষ্টা সার্থক রূপ নিচ্ছে। এ আনন্দ বলার অপেক্ষা রাখছে না। ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ এই বীর প্রতীকের যুদ্ধকালীন স্মৃতি এতটাই ভয়ংকর এবং রোমাঞ্চকর এবং মর্মস্পর্শী যে, তা যে কারো হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। বিশেষ করে তাঁর মুখের জবানিতে আমি যেসব ঘটনা শুনেছি তা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী আমাদের প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে, সাহস যোগাবে। স্মরণীয় হয়ে থাকবে মুক্তিযুদ্ধকালীন একজন লড়াকু সৈনিকের জীবনগাঁথা। তাঁর জীবন থেকে বুঝা যাবে সে সময় কি কঠিনভাবে তারা দিন পার করছিলেন। কেনইবা পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে এ জাতি মরণপণ যুদ্ধে নেমেছিলো। বিশেষ করে ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে যে নির্মম পৈশাচিক হামলা হয়েছিলো ঢাকার পিলখানায়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে— সে সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা মিলবে আবদুল মালেক বীর প্রতীকের জবানি থেকে। বর্তমান সময়ের মতো ডিজিটাল প্রযুক্তি তো দূরে ছিলো, নূন্যতম একটি ফোনও ছিলো না কারো, যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ম্যাসেজ পাঠাবেন, সে দিন কারা বা কে সে ভূমিকা নিয়েছিলেন, কিভাবে গ্রামগঞ্জে পৌঁছেছিলো যুদ্ধের বার্তা? এসব নানা বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা মিলবে এই গ্রন্থ থেকে।