১৯৪৩ সালের জুন মাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। পূর্ব পাকিস্তানের একদম শেষ কোনায় বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে এক গ্রাম হল সাবরং। সেখানেই ক্যাম্প করেছে ব্রিটিশ রয়্যাল আর্মির ৩৭ পেশোয়ার রেজিমেন্ট। শত্রুর ওপর এ্যাম্বুশ করতে গিয়ে পাল্টা এ্যাম্বুশের শিকার হয় এই রেজিমেন্টেরই একটি প্লাটুন। আহত কোম্পানি কমান্ডার মেজর জেমস কার্টারকে নিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় পাঁচজন বাঙ্গালি সৈনিক। বেজক্যাম্পে ঢোকার আগেই জানতে পারে যে শত্রুর প্রবল আক্রমনে বেজক্যাম্প ধ্বংস হয়ে গেছে। মারা যাবার আগমুহুর্তে মেজর জেমস কিছু একটা বলে গেছে ওদেরকে। এই পাঁচজন সৈনিক কি জানে ওদের ভাগ্যে কি অপেক্ষা করছে? কেন এক এক করে মরছে সৈনিকরা। ওরা কি পারবে নিজের পরিবারের কাছে পৌছাতে? ব্যাস্ত ঢাকায় এক ব্যাচেলর বাসা ভাড়া করে থাকে দুই বন্ধু। বিজয় আর সুদীপ। সাধাসিধে আর সৌখিন দুই বন্ধুর কাছে হটাতই আসে বেনামি এক উড়োচিঠি। ছন্দময় এক আজব কবিতা লেখা সেই আশি বছরের পুরানো চিঠিতে। চিঠির মর্ম বোঝার আগেই আসে আরো এক বেনামি চিঠি। কে বারবার চিঠি দিয়ে যাচ্ছে ওদের। পুলিশ কেন খুঁজে বেড়াচ্ছে বিজয়কে। মিরপুরের হোটেলে পাওয়া লাশের ডায়রিতে বিজয়ের নাম লেখা। কিন্তু বিজয় সেই মৃত ব্যাক্তিকে চেনেনা। কি সম্পর্ক বিজয়ের সাথে ওই লাশের? বিজয়ের কাছে আসা উড়োচিঠি, হোটেলের ভেতরে পাওয়া বেনামি লাশ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পাঁচ সংগ্রামী সৈনিক; এই সব কিছুর ভেতরে কি কোন সম্পর্ক আছে? আশি বছর আগের চিঠির মানেই বা কি? এই রহস্যের জট খুলতে হলে ডুবে যেতে হবে বিজয় আর সুদীপের সাথে উড়োচিঠির রহস্য অনুসন্ধানে। খুঁজে বের করতে হবে কি আছে এই চিঠির অন্তরালে।