প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 01 Dec 2024 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
কমিয়ে দেখুন
সময় বাড়লো ক্লিয়ারেন্স সেল অফারের! বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
সময় বাড়লো ক্লিয়ারেন্স সেল অফারের! বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
এক বৃহৎ প্রেক্ষাপটে অনেক ঘটনার সমন্বয়ে রচিত হয়েছে এই গ্রন্থ। ভারতে এই গ্রন্থের প্রথম প্রকাশ হয় ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে এবং এক বছরের মধ্যেই এর চৌদ্দটি সংস্করণ হয়। সুতরাং অনুমান করা যায় যে, সেদিন দেশের ইংরেজি জানা পাঠকের মধ্যে এই গ্রন্থ বিপুল সাড়া তুলেছিল। গ্রন্থের লেখকদ্বয়ের একজন হলেন দোমিনিক লাপিয়ের। বাংলাভাষী পাঠকের কাছে লাপিয়ের ইতমধ্যেই সুপরিচিত হয়েছেন তার ‘আনন্দ নগর’ উপন্যাসের সুবাদে। অন্যজনও অপরিচিত নন। অন্তত ইংরেজি জানা পাঠকের কাছে ‘ইজ প্যারিস বার্নিং?’ এবং ‘ও জেরুজালেম!’ গ্রন্থ দুটির জন্য। লেখকরূপে ল্যারি কলিন্সও সুখ্যাতি। এদের দুজনের যৌথ প্রয়াসের তৃতীয় ফসল ‘ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট।’ দীর্ঘ তিন বছরের নিরলস অধ্যবসায় ও গবেষণার পর এই গ্রন্থ রচিত হয়েছে। বিস্তর তথ্য পরিবেশন করেছেন লেখকদ্বয়। ৬০০ পাতার বইটির মধ্যে আয়াসসাধ্য অনেক চড়াই—উৎরাই আছে। তবুও কোথাও উপলব্যথিত হয় না এর ধারা। এমনকি কোনোক্রমে শেষ করে বাঁচা গেল!’ বলবেনও না কোনো পাঠক। একের পর এক দৃশ্যগুলো পাঠকের চোখের ওপর দিয়ে অবলীলায় চলে গেছে। কত রঙ তাদের! অন্তত ৫০০ চরিত্রের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন লেখকদ্বয়। সবাই ইতিহাসের চরিত্র নন। সাধারণ চরিত্রও আছে। কিন্তু কোনো চরিত্রই যেন আলোকবৃত্তের বাইরে পড়ে না। পাঠককে প্রায় ৬০০০ মাইল পরিভ্রমণ করিয়েছেন লেখকদ্বয়। কখনও রুক্ষ কঠিন খাইবার গিরিপথ, কখনও মাদ্রাজের সেন্ট জর্জ গির্জা। কখনও শহরের বস্তি, কখনও ইংল্যান্ডের শান্ত নিরিবিলি গ্রাম। তবুও পাঠকের যাত্রাপথ অনভ্যস্ত হয়নি কোথাও।