লেখক হিসাবে তাঁর সাহিত্যাঙ্গনে প্রবেশ দুই থেকে আড়াই দশক আগে। তবে গ্রন্থ রূপে আলোর মুখ দেখে ২০২৪ বই মেলায় চার চারটি কাব্যগ্রন্থের, পাণ্ডুলিপির সংখ্যা অন্তত ১০—১২ খানা, কবিতা, ছড়া পদ্য, গল্প ও উপন্যাস। এই সংখ্যা বলে দেয় সাহিত্যের কতোটা ধারক ও বাহক তিনি। বলছিলাম কবি ও সাহিত্যিক প্রকৌশলী মোঃ শাহানুর রশিদ এর কথা । কবিতা, পদ্য, ছড়া'র অসংখ্য পাণ্ডুলিপি থেকে চারটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর এবার প্রকাশ হতে চলেছে ‘বৃষ্টি বিধুর’ শিরোনামে মিষ্টি প্রেমের তাঁর প্রথম উপন্যাস। যেখানে ইমন নামের এক তরুণের সাথে বিশেষ এক চরিত্র বৃষ্টির রোমান্স, সাথে বেশ কিছু চরিত্রের সাধারণ জীবন প্রণালীকে সুন্দর আকর্ষণীয় হৃদয়স্পর্শী রূপ দেওয়া সম্ভব, তা এই উপন্যাস না পড়লে অবোধ্য থেকে যেতো। চলমান ঘটনার চমৎকার বর্ণনা ও নানা ছোটো ছোটো বিষয়ের অবতারণায় লেখক তাঁর পোক্ত কলমের পরিচয় দিয়েছেন, সহজেই পাঠক তা হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হবে এবং চরম পূলক অনুভব করবেন। ক্ষুদে লেখক এবং তরুণ শিক্ষার্থী ইমনের প্রকৃতি প্রেম, উপস্থিত বুদ্ধি ও মনোবলে সহজেই আকৃষ্ট হয় সমবয়সী তরুণী বৃষ্টি। তবে উঠতি তরুণ হৃদয়ের মাঝে আত্মগরিমা ও অহংবোধের চরম কৌশলীপনায় ‘বুক ফোটে তো মুখ ফোটে না’ প্রবাদের মতো পুরো উপন্যাস জুড়ে পাঠকগণ একটা অনন্য ভালোলাগা বহন করে চলবে। সাথে দাদু, মনু চাচা, সীমা, রাশেদ, রানা সহ সকল চরিত্র লেখকের লিখনিতে স্ব স্ব মহিমায় উজ্জ্বল। আমি উপন্যাসটি মনোযোগ সহকারে পড়েছি এবং দারুণ মুগ্ধ হয়েছি। নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি গ্রন্থটি পাঠক প্রিয়তা পাবে।