ইসলামে শয়তানকে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শয়তান মানুষকে বিপথগামী করার জন্য নানা ধরনের ফন্দি আঁটে। তবে ইসলামে মানুষের মুক্ত ইচ্ছার কথাও বলা হয়েছে। মানুষ নিজের ইচ্ছায় ভালো বা খারাপ কাজ করতে পারে। তাই, মানুষের শয়তানি শয়তানের প্ররোচনার ফলে ঘটলেও, মূল দায়িত্ব মানুষের নিজের উপরই বর্তায়। আর এই শয়তানের প্ররোচনা থেকে বাঁচতে মানুষের বিবেকই সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান বিশ্বে মানুষের এই ইচ্ছাশক্তি এতটাই নেতিবাচক যে তার জন্য আর শয়তানের প্ররোচনার প্রয়োজন হয় না। মানুষ আপন স্বার্থ হাসিলের জন্য যে কোনো ধরনের অনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে দ্বিধাবোধ করে না। যার ফলে ক্রমেই অন্যায়, অপরাধ বা পাপকর্ম বেড়েই চলেছে। দার্শনিকরা শয়তানকে একজন ব্যক্তি হিসেবে নয়, একটি ধারণা বা প্রবৃত্তি হিসেবে দেখেন। তারা মানুষের মধ্যে থাকা কুপ্রবৃত্তি, আগ্রাসন, লোভ, হিংসা, বিদ্বেষ ইত্যাদিকে শয়তানের প্রতীক হিসেবে দেখেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে মানুষের কুকর্ম শয়তানের কাজের চেয়েও অধিক বড় হয়ে যায়। তাই বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে বলাই যায় যে, শয়তান অনেকাংশেই এখন কর্মহীন। শয়তানের আর শয়তানি করার প্রয়োজন পড়ে না। মানুষই তাদের অপকর্মের মাধ্যমে শয়তানকে ছাড়িয়ে গেছে। বইটিতে মানুষের শয়তানির নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও হাদিস এবং কোরআনের সূত্রসহ মানুষ এবং শয়তানের সম্পর্ক ও কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি বইটি পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।