মুহাম্মদী নুরের সৃজন এবং সেই নুর দ্বারা সৃষ্টি প্রথমে আল্লাহ একা ছিলেন। আসমান-জমিন ইত্যাদি দৃশ্য-অদৃশ্য কিছুই ছিল না। আল্লাহকে আল্লাহ বলার মতো কেউই ছিল না। আল্লাহ ইচ্ছা করলেন মহাবিশ্ব সৃষ্টি করবেন। হাদিস থেকে জানা যায়, আল্লাহ সর্বপ্রথম মুহাম্মদ -এর নুর তৈরি অ্যাসাল্লাম করেন। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, একদিন রসুল সাল্লাল্লাহ জিবরাইল ফেরেশতাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'তোমার বয়স কত?' ফেরেশতা বললেন, 'আমার বয়স আমার জানা নেই। তবে চতুর্থ আকাশে একটি তারা ৭০ হাজার বছর পর একবার উদিত হতো, সেই তারা আমি ৭২ হাজার বার দেখেছি।' রসুল বললেন, 'সেই তারা আমিই ছিলাম। আমার নুর আল্লাহ তারার আকার করে রেখেছিলেন। আমার জন্ম হওয়াতে সে তারা কেয়ামত পর্যন্ত আর দেখবে না।' জাবের (রা)-এর এক প্রশ্নের উত্তরে রসুল বললেন, 'আল্লাহ তাঁর নুর থেকে প্রথমে আমার নুর সৃষ্টি করেন। ঐ সময় মহাবিশ্বের আর কিছুই ছিল না।' এ সংক্রান্ত অনেক হাদিস রয়েছে। আল্লাহ যখন নিজ খোদায়ি লীলা প্রকাশ করতে ইচ্ছে করলেন, তখন নিজ নুরকে বললেন, মুহাম্মদী নুর সৃজন কর। আদেশ পাওয়া মাত্র মুহাম্মদী নুর সৃজিত হয়ে আল্লাহকে সেজদা করল এবং আল্লাহর প্রশংসা করতে লাগল। আল্লাহ বললেন, এজন্যই তোমাকে আমি সৃষ্টি করেছি।' অতঃপর আল্লাহ বললেন, তোমার নুর দ্বারা সব কিছু সৃষ্টি করব আর তোমাকে সর্বশেষ নবি হিসেবে প্রেরণ করব। যেহেতু তুমি আমার প্রশংসা করেছ, সেজন্য তোমার নাম মুহাম্মদ (প্রশংসাকারী) রাখলাম। অতঃপর আল্লাহ কখনো ঐ নুরকে আল্লাহকে সেজদা করতে বলেন, কখনো প্রশংসা করতে বলেন। অতঃপর বহু পর্দা (আবরণ) বানিয়ে নুরকে এ পর্দায় ঢেকে রাখেন। একেক পর্দার মধ্যে ঐ নুর অবস্থান করে লক্ষ লক্ষ বছর আল্লাহর জিকির করে। অবশেষে পর্দা হতে বের হয়ে ঐ নুর নিঃশ্বাস ফেলে। ঐ নিঃশ্বাস থেকে আল্লাহ সব জীবের রুহ্ সৃষ্টি করেন। আর ঐ নুর দ্বারা অন্য সবকিছু সৃষ্টি করেন। আসমান ও জমিন সৃষ্টি করার পর আল্লাহ এগুলোকে সাত ভাগে ভাগ করেন। অতঃপর আল্লাহ ঐ নুরকে দশ ভাগ করলেন, যার প্রথম ভাগ দিয়ে একটি জওহর (মাণিক্য) সৃষ্টি করলেন। জওহরের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল চার