বেশ কয়েক বছর ধরে কওমী নেসাবের গুরুত্বপূর্ণ কিতাব মীযান ও মুনশাইব আমার দায়িত্বে আছে। ছাত্রদের পড়াতে গিয়ে কিতাবটির সহজ ও সুন্দর বিন্যাসের তীব্র প্রয়োজন অনুভব করি। নিজ উদ্যোগে নতুন করে ব্যাখ্যা লেখার সাহস হয়েছিল না। তখন মনে পড়ে তাসহীলে মীযান ও মুনশাইব কিতাবটির কথা। অত্যন্ত সহজ ও বোধগম্য বিন্যাসে রচিত এ কিতাব। রচয়িতা মাওলানা নাঈম সাহেব আমাদের অত্যন্ত প্রিয় একজন উস্তায। তাঁর দরস সবসময়ই আকর্ষণীয়। যেকোনো বিষয় সহজে বুঝিয়ে বলার খ্যাতি তাঁর অনেক দিনের। আমি নিজেও এর সাক্ষী। তাই হুজুরের কিতাবটি সামনে রেখে দরস চালু রাখি। এর আলোকে প্রতিদিনের সবক লিখিয়ে দিতে থাকি। ছাত্ররা খুব অল্প সময়েই আত্মস্থ করতে পারছে বলে জানায়। মেধাবী ছাত্ররা কোনো সহায়ক কিতাবের পরামর্শ চাইলেও এই কিতাবের সন্ধান দিই। কিন্তু উর্দূতে রচিত হওয়ায় তাদের কেউ কেউ আশানুরূপ ফল লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এর মধ্যে যোগাযোগ হয় গ্রন্থালয় কর্তৃপক্ষের সাথে। তারা কিতাবটি বাংলায় ছাপার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমি দীর্ঘ সময় নিয়ে কাজটি করি। ভাষাগত সহজবোধ্যতা প্রাধান্য দেই। প্রতিটি মাসআলা অধিকতর সরল উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কখনো কখনো সহকর্মীদের সাথেও পরামর্শ করি। তারা আমাকে বিভিনড়বভাবে সহায়তা করেন। এ ক্ষেত্রে সহকর্মী মাওলানা হিদায়াতুল্লাহ নোমান সাহেবের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নববী ভাষায় তাকে বলছি, জাযাকাল্লাহ। এক অগ্রজ কিতাবটি আদ্যোপান্ত দেখার কারণে এর মান বহুগুণে বেড়ে গেছে। এখন তালিবুল ইলমগণ এর মাধ্যমে উপকৃত হলে আমাদের শ্রম সার্থক হবে। আল্লাহ তাআলা ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে কিতাবটি উপকারী বানান। আমীন।