দণ্ডভেদ ফ্ল্যাপ আমি হিমাদ্রি দে। আলিপুর থানার ওসি। থানায় আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে এস আই মহিউদ্দিন। আমাদের থানায় মূলত চুরি, ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতন ইত্যাদি এরকম কেস নিয়ে কাজ করা হয়। ওতো বড় কোনো কেস আমাদের সামনে আসে না। আমাদের শহরের নেতারাও বেশ ভালো। শহরের অনেক উন্নয়ন করেছে। তরুণ প্রজন্মের আইডল তারা। হঠাৎ একদিন শহরের সেসব স্বনামধন্য নেতারা সবাই একজন একজন করে গুম হতে থাকে। গুম হওয়ার ২ দিন পর পর কিছু নির্দিষ্ট পাবলিক প্লেস থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। আমরা মনে করি আমরা পুলিশ সদস্যরাই লাশের কাছে পৌঁছেছি। কিন্তু আসলে খুনি নিজেই লাশ আমাদের কাছে পৌঁছায়। আমরা মনে করি কেসে তদন্ত করে আমরাই ক্লু পেয়েছি। কিন্তু আসলে খুনি নিজেই আমাদের জন্য ক্লু ছেড়ে যায়। আমরা মনে করি কেসে আমরা ২ ধাপ এগিয়েছি। কিন্তু খুনি আমাদের চেয়ে আরো ৪ ধাপ এগিয়ে থাকে। খুনি নিজেকে "কান্তিগো" নামে পরিচয় দেয়। কে এই কান্তিগো? কি তার উদ্দেশ্য? কেমন তার অতীত? কেন সে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে নির্দিষ্ট প্যাটার্নের মানুষদের খুন করছে?
রাত্রিহরণ আমি ওসি হিমাদ্রি। "কান্তিগো" এর কেস সামলে উঠতে না উঠতেই আমাদের সামনে এসে পড়ল নতুন এক কেস। এবার শহরের অস্বাভাবিক কিছু জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারের স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের লাশ। নিউজে জানা যায় সেই মেয়েদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। যেহেতু এদেশে ধর্ষণ একটি নিত্যদিনের ঘটনা, তাই যদি কেস গুলো শুধুমাত্র ধর্ষণ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকত তবে ভালই হতো। কিন্তু এই কেসের প্রতিটি লাশের ফরেনসিক রিপোর্টে পাওয়া যায় অস্বাভাবিক কিছু তথ্য। প্রতিটা লাশের পেট থেকে তুলে ফেলা হয়েছে মাংস। মানুষের মাংস না ডোনেট করা যায়, না রিপ্লেস করা যায়। তাহলে কেন নিরপরাধ মেয়েগুলোর সাথে এরকম ভয়াবহ নৃশংসতা? ভিকটিমদের লাশের পেটের মাংসগুলো দিয়ে কি করছে খুনি? কে বা করছে এসব খুন? এইসব রহস্যের জট খুলতে গিয়ে আমাকে এমন এক সত্যের মুখোমুখি হতে হয় যা আমার পুরো জীবনটাই নড়বড়ে করে দেয়। আমি কান্তিগো। একজন প্রফেশনাল সিরিয়াল কিলার। আলিপুর শহর থেকে অপরাধীদের দন্ড দেওয়াই আমার কাজ। কিন্তু আলিপুরে আবির্ভাব হলো এক নতুন সাইকোপ্যাথ সিরিয়াল কিলারের যে কিনা শুধুমাত্র ৯ম-১০ম শ্রেণীর মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদেরকে ধর্ষণ করে হত্যা করছে এবং আকস্মিকভাবে পেট থেকে মাংস গায়েব করছে। কে এই ভয়ঙ্কর নৃশংস সিরিয়াল কিলার যে আমারই শহরে আমাকে এভাবে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে?
চট্টগ্রামের তরুণ লেখক মুহাম্মদ জাহিদ হোসাইন নিজেকে লেখকের চেয়ে পাঠক হিসেবেই পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। তিনি মূলত থ্রিলার রহস্য উপন্যাস নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু তার ছোটবেলার স্বপ্ন ছিলো যে তিনি একটি সামাজিক সচেতনতা মূলক বই লিখবেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২২ বইমেলায় প্রকাশ করেন নিজের ১ম বই "মোরাল অফ দ্যা স্টোরি"।তবে তিনি মূলত রহস্য ক্রাইম থ্রিলার উপন্যাস লিখতে পছন্দ করেন। "দন্ডভেদ" হলো জাহিদের লেখা ১ম থ্রিলার উপন্যাস।পাশাপাশি অনলাইনে তিনি বিভিন্ন উৎসাহমূলক, সামাজিক সচেতনতামূলক এবং শিক্ষনীয় ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে থাকেন। জন্ম ২০০১ সালের ৭ই অক্টোবর।তিনি তার প্রতিষ্ঠান ‘স্প্রেড নলেজ’ এর মাধ্যমে বিভিন্ন উৎসাহমূলক, সামাজিক সচেতনতামূলক, শিক্ষনীয় কন্টেন্ট, আর্টিকেল, কুইজ, ক্যাম্পেইন এবং কোর্স সরবারহ করে থাকেন। তাছাড়া তিনি গ্রাফিক ডিজাইনও করে থাকেন। তার প্রতিষ্ঠান ‘গ্রাফিজাইন’ হলো একটি ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠান, যেখানে কনেকেই ফ্রীল্যান্সিং ও মার্কেটিংয়ের কাজ করে নিজেদের পকেট মানি রোজগার করে থাকে।