সম্পাদকীয় কথা আমরা কথা বলি বেঁচে থাকার জন্য। মনের ভাব অপরের কাছে পৌঁছানোর জন্যই জন্ম হয়েছে কথার। কিন্তু আমাদের এই ‘কথা’কেই বন্ধ করার জন্য যুগে যুগে শাসক ও স্বার্থোনেষী দোসরদের উত্থান হয়েছিলো। তারা আমাদের বোবা করতে চেয়েছিলো। সাথে আমাদের স্বকীয়তা, অস্তিত্ব ও অধিকারকে গুম করে ফেলেছিলো। বিচার ছাড়াই ‘কথা’ খুন হয়ে গিয়েছিলো। জানাযা ছাড়াই ওদেরকে দাফন করে মাটি চাপাও দিয়ে ফেলেছিলো। এরপর সত্যি সত্যিই আমরা বোবা হয়ে গেলাম! ধীরে ধীরে আমরা অন্ধ আর ভীতু হয়ে গেলাম। বহু বছর মেরুদণ্ডীহীন প্রাণীর মতো বাঁচলাম। কিন্তু, এরপর একদিন হুট করেই বদলে গেলো সব প্রেক্ষাপট। বদলে দেওয়ার মহানায়করা কিন্তু আমার-আপনার মতোই মানুষ ছিলো, পার্থক্য ছিলো শিরদাঁড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে একদম সাধারণ জনতা হয়ে উঠে যোদ্ধা। কোনো প্রকারের অস্ত্র ছাড়াই, শুধু কথার বিনিময়েই, আমরা ছিনিয়ে আনি মুক্তি-বিজয়-স্বাধীনতা, সব। ঐ সূর্যটাকে পুনরায় ছিনিয়ে আনতে ১৫৪৩ জন শহিদ হয়েছেন। শহিদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে! ২২,০০০-এর অধিক মানুষ আহত হয়েছেন। পঙ্গু হয়েছেন বহু। সত্যের সাথে চলা আমরাও শির নত করেছিলাম স্বৈরাচারের কাছে। বাধ্য হয়েই তা করতে হয়েছিলো। তবুও অপরাধী ছিলাম বলেই বিবেকের দংশনে দংশিত হয়ে রাজপথে নামা হয়েছিলো ‘কথা’ বলার অধিকার ফেরানোর জন্য। সবার ‘কথোপকথন’কে ফিরিয়ে আনার জন্য। মুক্তভাবে কথোপকথন আবারো হওয়ার জন্য। কথোপকথন : বহ্নিমান পর্ব-এর বিষয়বস্তু জুলাই-আগষ্ট। কিশোর-কিশোরীদের পাঠে ফিরিয়ে আনা, তরুণ-তরুণীদের সৃজনী চিন্তায় যুক্ত করা এবং ত্রিশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মানসিকতা বদলানোর অভিপ্রায় নিয়ে বাংলাদেশ ২.০ গড়ার অভিযাত্রায় আমরা থাকতে চাই বলেই কথোপকথন-এর আর্বিভাব। সংস্কার বাংলাদেশ-এর পথযাত্রায়, সবার আগে নিজেকে সংস্কার করা হচ্ছে প্রথম ও প্রধান কাজ। নিজে ভালো তো দুনিয়া ভালো এই কথাটা লোকমুখে প্রচলিত হলেও তা সত্য। আসুন, কথোপকথন-এর মাধ্যমে আমরা নতুন কিছু জানি, সত্যকে উদঘাটন করে অবলীলায় কথা বলি এবং দেশের জন্য কাজ করে যাই।
বাংলাদেশের সর্বস্তরের পাঠকদের জন্য সর্বপ্রথম কিস্তিতে বই কেনা কার্যক্রম চালু করার পাশাপাশি শিক্ষা, বৃদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ এবং জনসাধারণের সেবা গ্রহণের রুক্ষতাকে সাবলীল করার প্রয়াসে ই-কমার্স, প্রযুক্তি, রেস্তেরাঁ সহ নানান সেবাখাতে কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠান ❝বারোমাসি❞-এর প্রতিষ্ঠাতা মিঁয়া মোহাম্মদ খালিদ সাইদুল্লাহ ফয়সল-এর জন্ম পনেরো নভেম্বর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) থেকে ❝ভাষাশিক্ষা❞-র উপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে, ভাষাশিক্ষাজ্ঞ-এর যোগ্যতা অর্জন শেষে, বর্তমানে পেশাবৃত্তিক অঙ্গনে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন ঘরানার সৃজনশীল কাজে নিয়মিতভাবে আনাগোনা করে যাচ্ছে। বোর্ডিং স্কুলে, শখের বসে লেখালিখি করে পুরষ্কার জিতে নেওয়ার আগেই, রাশিয়ান রূপকথার গল্প আর কবিতার ছন্দে মোহবিষ্ট হয়েই, বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ঘরানার একনিষ্ঠ পাঠক হিসেবে এখনো পর্যন্ত আনাগোনা চালিয়ে যাচ্ছে। সৃজনতাকে ভালোবাসার ফলেই, তার হাঁটা হয়েছে নানা ঘরানায়। গান-কবিতা লেখার পাশাপাশি চিত্রনাট্য লেখা ও শর্টফিল্ম নির্দেশনা করার মতো অভিজ্ঞতাও আছে ঝুলিতে। লেখালিখির জগতে কবি ❝মিঁয়া ভাই❞ কিংবা ❝ভাই ফয়সল❞ নামেই বহুল পরিচিত এবং পাঠক-পাঠিকার কাছে সমাদৃত। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, ছড়া সহ প্রায় সব ঘরানায় তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে প্রতি বছর।