“আমি চ্যাটজিপিটি বলছি” একটি অসাধারণ বই, যেখানে চ্যাটজিপিটি নিজেই তার সৃষ্টির ইতিহাস, কর্মপদ্ধতি এবং মানুষের জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছে। খালিদ সাইফুল্লাহ রাকিবের লেখা এই বইটি কেবল প্রযুক্তির উদ্ভাবনী দিকগুলোই তুলে ধরেনি বরং দেখিয়েছে কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠছে এবং ভবিষ্যতে মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজতর করতে সক্ষম হবে। এই বইয়ের মাধ্যমে পাঠকরা জানবেন কীভাবে চ্যাটজিপিটি শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণা, পেশাগত উন্নয়ন এবং সৃজনশীল কাজগুলোতে অবদান রাখতে পারে। বইটি অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা হয়েছে, যা প্রযুক্তির জটিল বিষয়গুলোকে পাঠকদের কাছে সহজবোধ্য করে তুলেছে। ফ্রিল্যান্সিং, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, ডাটা এনালাইসিসসহ নানাবিধ আয়ের সুযোগগুলো কীভাবে এআইয়ের সাহায্যে প্রসারিত করা যায়, তার বাস্তব উদাহরণ এই বইয়ের অন্যতম আকর্ষণ। চ্যাটজিপিটির ভবিষ্যৎ, এর বিভিন্ন সংস্করণ, ফ্রি ও পেইড ভার্সনের সুবিধা এবং এআই প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা ও নৈতিকতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা বইটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। এই বইটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী প্রতিটি পাঠকের জন্য একটি দিকনির্দেশক আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে। “আমি চ্যাটজিপিটি বলছি” এমন এক যুগের প্রতিফলন, যেখানে মানুষ ও যন্ত্র একসঙ্গে অগ্রসর হচ্ছেÑ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে।
একজন প্রতিশ্রুতিশীল আলেম ও শিক্ষানবিস। ১৯৯৬ সালের ২৬ শে অক্টোবর ফরিদপুরের এক নিভৃত গ্রাম-রামনগরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কওমি ধারার শিক্ষাব্যবস্থা থেকে হাফেজ, মাওলানা ও মুফতি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ইসলামি দর্শন, দাওয়াহ এবং সাহিত্যে তাঁর আগ্রহ অপরিসীম। বই পড়া, লেখালেখি এবং দাওয়াহ তাঁর প্রিয় কাজ। বর্তমানে তিনি তুলনামূলক ধর্মতত্তে¡র ওপর উচ্চতর ডিপ্লোমা করছেন এবং ওঊখঞঝ এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ তিনি হাতে নিয়েছেন। তাঁর প্রকাশীতব্য বইয়ের তালিকায় রয়েছে- ১. বি স্মার্ট ২. ব্যাড হ্যাবিটস গুড হ্যাবিটস ৩. ইসলামিক ম্যানার্স ৪. ইংলিশ কনভার্সেশন