শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা সাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সকল শ্রেণির মানুষের দীর্ঘ সত্তর বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল হিসেবে। প্রতিষ্ঠার ইতিহাস নিয়ে এ-গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তির চারটি স্মৃতিচারণমূলক ও বিবরণধর্মী রচনা-সহ শিক্ষা-কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে উপাচার্যের স্বাগতিক ভাষণও। স্মৃতি ও কথায় রচনাগুলোতে উন্মোচিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট, প্রতিষ্ঠার আড়াই দশকের ঘটনা-পরিক্রমা, প্রতিষ্ঠা-সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা এবং কিছু তিক্ত-সত্য। লেখক চারজনের মধ্যে কাজী ফজলুর রহমান ও নুরুল হোসেইন খান দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সিন্ডিকেট-সদস্য, আবদুল ওয়াহেদ খান বিশ্ববিদ্যালয়-আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক এবং ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী প্রথম উপাচার্য ছিলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ছিল তাঁদের নানা ধরনের যুক্ততা এবং অনেক ঘটনার সাক্ষীও ছিলেন সকলে। তাই তাঁদের স্মৃতিকথা, বিবরণ ও ভাষণের আলাদা একটা মূল্যও রয়েছে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইতিহাসে। সব মিলিয়ে সংকলন-গ্রন্থটিকে সম্পাদনা করে সাস্ট-ইতিহাসের আদিপর্বের দলিল হিসেবে বোদ্ধা পাঠকের কাছে হাজির করেছেন লেখক ও গবেষক জফির সেতু।
জন্ম ২১ ডিসেম্বর ১৯৭১, সিলেট। পেশা শিক্ষকতা। কর্মক্ষেত্র শাহজালাল বিজ্ঞান ও এ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ হলেও কবি হিসেবে পরিচিত দেশে ও দেশের বাইরে। প্রকাশিত কবিতার বইয়ের সংখ্যা চৌদ্দ এবং একমাত্র ইংরেজি কবিতা সংকলন Turtle has no wings (২০১৪)। জফির সেতুর গল্পগ্রন্থের নাম বাবেলের চূড়া (২০১৩) ও উপন্যাস হিজলের রং লাল (২০১৬)। শেষদুটি কবিতার বই আবারও শবর (২০১৬) ও এখন মৃগয়া (২০১৬)। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়েছে সর্বশেষ বই কবিতার ইন্দ্রজাল। এটি একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থও। সম্পাদনা করেন ছােটকাগজ সুরমস ও গােষ্ঠীপত্রিকা কথাপরম্পরা। স্ত্রী সাহেদা শিমুলকে নিয়ে বসবাস করেন সিলেটে। শখ: ভ্রমণ। ভ্রমণ করেছেন নেপাল, ভারত, জাপান ও চীন।