রাজশাহীতে ১৯১০ সালে শরৎকুমার রায় (১৮৭৬-১৯৪৬) ও রমাপ্রসাদ চন্দের (১৮৭৩-১৯৪২) সহযোগিতায় বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজীবন পরিচালক ছিলেন মনীষী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। রাজশাহী থেকে ঐতিহাসিক চিত্র, পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনার মাধ্যমে বিরাট অবদান রেখেছিলেন। তিনি বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ইতিহাস চর্চারও পথিকৃৎ। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘আধুনিক বাঙালি লেখকগণের শীর্ষস্থানীয়’ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। ইংরেজ কর্তৃক নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে (১৭৩৩-১৭৫৭) মিথ্যা, বানোয়াট ও স্বেচ্ছাচারী হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁর চরিত্রের উপর কলঙ্কলেপন করেছিলেন। অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়ই প্রথম তাঁর স্বীয় প্রতিভাগুণে সিরাজউদ্দৌলার কলঙ্কমোচনের জন্য কলম ধরেছিলেন এবং ইংরেজদের রচিত নানা তথ্য ও উপাত্ত থেকেই তিনি নবাব সিরাজকে নির্দোষ প্রমাণ করেছিলেন। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী নানা কারণেই অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় আমাদের জাতীয় জীবনে অমরত্ব লাভ করবেন। এ গ্রন্থের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত গুণীজন অন্যান্য লেখাগুলিও পাঠকের মন জয় করবে বলে আমরা মনে করি। গ্রন্থটি সম্পর্কে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত পেলে প্রীত হবো।