হযরত ইবনে কাসির রহ. লেখেন, ভোরের সময়টি একটি গনিমত এবং আল্লাহর নেয়ামত বণ্টনের উপযুক্ত সময়। সময়টি অত্যন্ত বরকতপূর্ণ। এ সময়ে ঘুমিয়ে থাকা অসংখ্য কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ। যে ব্যক্তি চায় যে, সে এ সময়টির যাবতীয় নেয়ামত, গনিমত, রোজি-রোজগারে কল্যাণ ও বরকতসমূহ অর্জন করবে, সে যেন এত মূল্যবান সময়টিতে অযথা ঘুমিয়ে থেকে অফুরন্ত বরকত ও খাইরাত অর্জন করা থেকে বঞ্চিত না থাকে। হযরত ডাক্তার আবদুল হাই আরেফি রহ. বলেন, আল্লাহ তাআলা সকালের সময়গুলোকে এমন বানিয়েছেন যে, এ সময়ে ধরণির প্রতিটির বস্তুর মাঝে নতুনত্ব আসে। ঘুমন্ত লোকেরা জেগে ওঠে। পুষ্পকলিগুলো পাপড়ি মেলে। ফুল ফোটে। পাখিরা জেগে ওঠে আল্লাহর জিকির করে। এ সময়টি নতুন জীবন দানের সময়। এ সময়ে তুমি যদি আল্লাহর জিকির করতে থাকো, তাহলে তোমার অন্তরে আল্লাহর দিকে রুজু হওয়ার নুর পয়দা হবে... সুতরাং যদি পাথেয় হিসেবে ‘বরকতময় ভোর ও নামাজে ফজর’ বইটিকে অধ্যয়নে রাখা হয়, তাহলে আশা করি পাঠকদের মাঝে ফজর নামাজ জামাতে পড়ার আগ্রহ জন্মাবে। প্রাতঃকালীন অলসতা হতে মুক্ত হয়ে সকালের সকল রহমত, বরকত, হেদায়েতসহ ইহকালীন ও পরকালীন যাবতীয় উপকারসমূহ দ্বারা উপকৃত হতে পারবে।