মনীষা নিয়ে সিরিজ কবিতা লিখেছেন কবি গোলাম মোর্শেদ চন্দন। চন্দন কবি, এই সময়ের কবি। সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে যাঁরা আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে পারেন, চন্দন তাঁদেরই একজন। কিন্তু কবিতার ক্ষেত্রে চন্দনের ভাঙচুর একেবারেই নিঃশব্দে, চুপিসারে। কবিতায় আত্মমগ্ন থেকে তিনি যে ভুবন তৈরি করেছেন, তা একান্তই চন্দনীয়। মনীষাকে নিয়ে তিনি যে কবিতা লিখেছেন, তা কেবল একজন নারীর প্রতি পুরুষের নিবেদন নয়, প্রকৃতির প্রতি মানুষের নিবেদন। মনীষা কখনো প্রেমিকার প্রতীক, কখনো সে সমগ্র নারীর প্রতীক, কখনো সে দেশের প্রতিরূপ। মনীষাকে নিয়ে লেখা কবিতাগুলো পড়তে গিয়ে মনে হলো, এগুলো কেবল গোলাম মোর্শেদ চন্দনের লেখা কবিতা নয়, যে কোনো কবির লেখা কবিতা, এমনকি আমার মনের কথাই যেন লিখে রাখা হয়েছে মনীষাকে নিয়ে লেখা কবিতাগুলোয়। এর বাইরের কবিতা মিলিয়ে তৈরি হয়েছে ‘নিমগ্ন ঘোরের ডেরা’। পাঠক মাত্রই আবিষ্ট হবে এই কবিতাগুলো পড়ে। মনে হবে তাঁদের উপলব্ধিকে তুলে ধরা হয়েছে এইসব কবিতা। সময়ের প্রতিবিম্ব ধরা পড়েছে চন্দনের কবিতায়, একদিন এইসব স্মৃতিই হয়ে উঠবে ইতিহাস। কবিতার হাজার বছরের ঐতিহ্যকে রক্ষা করেই চন্দন কবিতা লেখে। মিডিয়ার ডামাডোলে না থেকেও তাঁর সময়ের কবিতায় তিনি অগ্রসারির একজন, একথা সহজেই প্রচার করতে পারি। বাংলা কবিতায় কবি গোলাম মোর্শেদ চন্দনকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই।