মদিনার সমাজ কীভাবে গড়ে উঠল? কেমন ছিল মদিনার সমাজ? ইসলাম-পূর্ব মদিনা কেমন ছিল? মদিনার তৎকালের সংবিধান কেমন ছিল? কীভাবে সাহাবিগণ পরস্পরে মিলে কাজ করেছেন? একটি সম্পূর্ণ নতুন দেশে এসে কীভাবে তাঁরা কর্মসংস্থান করেছিলেন? বেকারত্ব কীভাবে দূর হলো? এক ভাই অন্য ভাইয়ের জন্য কীভাবে তাঁর সর্বস্ব উৎসর্গ করে দিতে পেরেছিলেন? রাষ্ট্রপ্রধান রাসুলুল্লাহ সা. কীভাবে অভাবীদের থাকা-পরার ব্যবস্থা করলেন? গৃহহীন ও কর্মহীন লোকদের থাকা-পরার ব্যবস্থা কীভাবে হয়েছিল? এককথায়, কীভাবে জিরো থেকে হিরো হয়ে উঠল মদিনার সমাজ? বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে উক্ত সকল প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যাবে। অবশ্য কেবল মদিনার সমাজব্যবস্থা তুলে ধরাই লেখকের উদ্দেশ্য ছিল না। বরং ‘সহিহ বর্ণনা’ দ্বারা মদিনার সমাজচিত্র তুলে ধরাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল। ইসলামি ইতিহাসকে ‘ঢেলে সাজানো’একটি পরিকল্পনা নিয়ে লেখক কাজ করছেন। সেই কাজেরই একটি অংশ হলো বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি। গ্রন্থটি পাঠ করলে পাঠক প্রধানত দুটি বিষয়ে উপকৃত হবেন : ১. তারা মদিনার সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করবেন। ২. এবং একটি সমাজ কীভাবে গড়ে ওঠে, তার নববি রূপরেখার সাথে পরিচিত হতে পারবেন।
ইমরান হোসাইন নাঈম একজন মনোজ্ঞ পাঠক, বই সংগ্রহ যার নেশা, পাঠে মগ্ন থাকা যার মোহ। বিষয়ভিত্তিক পাঠে তার জ্ঞানের গভীরতা ও পরিধি উত্তর-উত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৯৫ সালের পনেরোই আগস্ট লেখকের জন্ম। বাসায় পড়াশোনার হাতেখড়ি হবার পর স্থানীয় স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তারপর আসেন মাদরাসার আঙিনায়। হিফজ সম্পন্ন করেন। তাকমিল সমাপ্ত করেন জামিয়া মাহমুদিয়া বরিশাল থেকে। লেখালেখির আগ্রহ তার অল্প বয়স থেকেই। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি অনুশীলন করে আসছেন। প্রথম মৌলিক লেখার প্রকাশ হয় ইসলামি বার্তা পত্রিকায় নিবন্ধ লেখার মাধ্যমে। অনুবাদচর্চার সূচনা হয় মাসিক ইসলামি পয়গাম পত্রিকা থেকে। ইতোমধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি মৌলিক ও অনুবাদ গ্রন্থ রচনা করেন, যা প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ধীরে ধীরে; ইনশাআল্লাহ।